বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউনে পুঁজিবাজার খোলা

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ১৩:০২

লকডাউন নিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে ব্যাংকিং সেবা কীভাবে হবে সেটা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিএসইসি আগেই জানিয়েছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারে লেনদেনও চলবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যেও খোলা থাকবে পুঁজিবাজার।

লকডাউন নিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে ব্যাংকিং সেবা কীভাবে হবে সেটা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিএসইসি আগেই জানিয়েছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারে লেনদেনও চলবে।

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হবে।’

গত বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার লকডাউন আরোপ করলে প্রায় দেড় মাস বন্ধ রাখা হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। এরপর কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হলেও ব্যাংকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালু রাখা হয় পুঁজিবাজারের লেনদেনও।

ব্যাংক ও পুঁজিবাজার ছাড়াও খোলা থাকছে তৈরি পোশাক খাতসহ অন্য শিল্প-কারখানাও। তবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কারখানার কার্যতক্রম চালু রাখার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

কঠোর লকডাউন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ। চলবে না কোনো গণপরিবহন। বন্ধ থাকবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস।

গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। তবে এবার শাটডাউনে কী হয়, এ নিয়ে ভীত ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। আর তাদের অস্থিরতার কারণে গত রোববার পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারায় ১০০ পয়েন্ট।

তবে সেদিনই সরকার সিদ্ধান্ত জানায়, সোম থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সীমিত লকডাউন চলবে। আর এই সময় ব্যাংক খোলা থাকবে। আর কঠোর লকডাউন বা শাটডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে পরে।

আর এই সিদ্ধান্ত আসার পর ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা পাল্টায়নি। পাল্টায়নি পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়ও। আর সোম ও মঙ্গলবার ৫০ পয়েন্ট ফিরে পায়।

শাটডাউনের প্রজ্ঞাপন আসার দিনই বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা জন্মে যে, শাটডাউনেও পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। আর সকাল থেকেই বাজার ছিল ইতিবাচক। আর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কঠোর লকডাউন তথা শাটডাউনের যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়, তাতে এটা উল্লেখ থাকে যে ব্যাংক খোলা থাকবে। তখন পুঁজিবাজার নিয়ে ন্যূনতম সংশয় দূর হয়ে যায়।

প্রজ্ঞাপন আসার পর পুঁজিবাজারে সূচক আরও বাড়তে থাকে। দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১০৮ পয়েন্ট বাড়ে ডিএসইএক্স সূচক। অর্থাৎ শাটডাউন আতঙ্কে রোববার বাজার যত মূল্য সূচক হারিয়েছিল, সেটি পুনরুদ্ধার করেও বাজারে যোগ হলো ৫৮ পয়েন্ট।

এ বিভাগের আরো খবর