বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ১৯:৪৬

এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূল বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের ঘোষণা না থাকলেও চূড়ান্ত বাজেটে তা বহাল রাখা হচ্ছে আরও এক বছরের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। একই সঙ্গে এটি অব্যাহত রাখার ব্যাখ্যাও দেয়া হবে।

উৎপাদনমুখী যেকোনো খাতে নতুন করে বিনিয়োগ করলে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে বিভিন্ন খাতে কালোটাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগ অব্যাহত থাকছে।

করোনাকালীন সারা দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর আয় কমে যাওয়ায় তাদের সুরক্ষায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট কমানো হচ্ছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এগুলোসহ আর কিছু সংশোধনী এনে অর্থ বিল চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অর্থ বিল ২০২১ পাসের মাধ্যমে বাজেটের কর প্রস্তাবগুলো কার্যকর করা হবে। এর পরের দিন অর্থাৎ বুধবার ৩০ জুন পাস হবে নতুন বাজেট।

গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। এরপর প্রথা অনুযায়ী মূল বাজেটে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে, ব্যবসায়ী, অংশীজনসহ সংশ্লিষ্টদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় ক্ষেত্রে সংশোধন বা পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে তা পাস করার মাধ্যমে বাজেট কার্যকর করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, মূল বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের ঘোষণা না থাকলেও চূড়ান্ত বাজেটে তা বহাল রাখা হচ্ছে আরও এক বছরের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। একই সঙ্গে এটি অব্যাহত রাখার ব্যাখ্যাও দেয়া হবে।

তবে টাকা সাদা করার শর্তে কিছু পরিবর্তন আসছে। যেমন, কেউ নতুন বিনিয়োগের শর্তে ১০ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করলে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। তবে খাতটি হতে হবে উৎপাদনমুখী।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, করোনাকালীন মন্দা বিনিয়োগ চাঙা করতে নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ করলে কালোটাকা সাদা করা যাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে কোনো সরকারি সংস্থাই আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবে না। এটি আয়কর আইনের ১৯-এর বি ধারা নামে যুক্ত হবে।

রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে সরকার এ ধরনের সুযোগ দিয়েছিল একই উদ্দেশ্যে।

এতে করে দেশে বিনিয়োগে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। এবারের বাজেটে নতুন করে আবার একই সুযোগ দেয়া হচ্ছে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য।

যে অর্থবছরটি শেষ হতে যাচ্ছে, তাতে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতে ঢালাওভাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন পর্যন্ত।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শর্ত পরিবর্তন করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

নতুন নিয়মে প্রযোজ্য করহার এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা বৈধ করা যাবে। প্রযোজ্য হার মানে হলো ব্যক্তিভেদে সর্বনিম্ন হার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ।

অর্থাৎ নতুন নিয়েমে কলোটাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হচ্ছে ঠিকই, ‍কিন্তু শর্ত কঠোর করা হলো।

তবে শেয়ারবাজারে এই সুযোগ নিয়ে কেউ এক বছর পর্যন্ত ‘লকইন’ না রাখলে তাকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা করতে হবে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমান আইনে ‘ভলান্টারি ডিসক্লোজার’ বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কালোটাকা বৈধ করার যে সুযোগ আছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সুযোগটি একই ধরনের। এতে তেমন কোনো সাড়া আসবে না।

তবে উৎপাদনমুখী খাতে নতুন বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, এটি ভালো উদ্যোগ। এতে অনেকেই নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন বলে জানান তিনি।

এখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্য সংযোজন কর আদায়ে দুটি স্তর আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হলে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ এবং নন-এসি সাড়ে ৭ শতাংশ।

করোনাকালে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে। এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকসংখ্যা ২২ লাখের বেশি। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় এই সেবা খাতের ভ্যাট হার কমানো হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হোটেল-রেস্তোরাঁর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং নন-এসির ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে।

নতুন বাজেটে বিকাশ, নগদসহ অন্যান মোবাইল সেবায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করার প্রস্তাব করা হয়। এটি সংশোধন করে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হতে পারে।

দেশে রডের বাজার নিয়ন্ত্রণে এর ওপর নির্ধারিত ট্যারিফ ভ্যালু কমানো হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর