বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলডিসি উত্তরণ চ্যালেঞ্জের, প্রস্তুত হোন: ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ২১:১১

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে শুধু তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দেশের আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরেও রপ্তানি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। এই চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সচিবালয়ে সোমবার এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পরিষদের ৪৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করতে এলে বাণিজ্যমন্ত্রী এই পরামর্শ দেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে টিপু মুনশি বলেন, এলডিসিসি উত্তরণের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার সেক্টরভিত্তিক সাবকমিটি গঠন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি থাকবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে এফবিসিসিআইকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণে ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যসুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানেও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর থাকতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে শুধু তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দেশের আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরেও রপ্তানি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার এসব খাতে রপ্তানি বাণিজ্য দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এখানেও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আগামী অর্থবছর আমরা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চাই। এ জন্য দেশের রপ্তানিকারকদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানায় এফবিসিসিআই। বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও আলোচনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, মো. আমীন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন এবং এম এ রাজ্জাক খানসহ সংগঠনের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সুযোগ দিতে হবে, অধিক কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এফবিসিসিআই, এনবিআর, ট্যারিফ কমিশনের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করার কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

বৈঠকে সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বাণিজ্য সংগঠনের কিছু নীতিমালা সংস্কার করার কথা জানান। এফবিসিসিআই ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেন।

এছাড়া, সভায় ই-কমার্স, আইসিটি, শিপিং কস্ট, ঘরে ঘরে উদ্যেক্তা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা। তারা ব্যবসাবান্ধব পলিসি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ বিভাগের আরো খবর