বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ১৭:৩১

২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১২ ও পরে ২০১৭ সালেও এভাবে অল্প সময়ের জন্য এই খাতে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরে তা স্থায়ী হয়নি।

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাত নিয়ে দীর্ঘ যে হতাশা, তা দূর হওয়ার আশা তৈরি হতে না-হতেই আবার আশাহত হতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।

অবমূল্যায়িত এই খাত নিয়ে চাঙাভাব এক মাসও স্থায়ী হয়নি। নতুন করে শেয়ার কেনায় আগ্রহও কমেছে।

দুর্দান্ত লভ্যাংশ, আয়ে প্রবৃদ্ধি, তবু ব্যাংক খাত ঝিমিয়ে। অথচ সূচক আর বাজার মূলধনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবক এই খাত।

তবে নিয়মিত কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, এমন কোম্পানির শেয়ারের দামও এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার আশপাশে, এমনকি নিচেও আছে। ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে এমন সব ব্যাংকের শেয়ার আছে, যেগুলো চলতি বছর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

ব্যাংকের শেয়ারের দর একটাই কম যে, কোম্পানিগুলো যে হারে নগদ লভ্যাংশ দেয়, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে এখন শেয়ার কিনে রাখাই বেশি লাভজনক।

২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে এই খাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশা দূর হবে কি না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু গত মে মাসের শুরুতে।

মে মাস জুড়ে আলো ছড়িয়েছে ব্যাংক খাত। তবে কোনোটি ২৮, কোনোটি ৩০ মে থেকে যায় সংশোধনে

এরপর প্রায় চার সপ্তাহ চাঙা থাকে এই খাত। দাম বাড়তে থাকায় এই খাতের শেয়ার কেনাও বাড়াতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা।

গত এক বছরে বিমা খাতের উত্থান দেখে ব্যাংক খাতের বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন।

বিমায় টানা উত্থান দেখা দেয় গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এবং এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। এই সময়ে কোনোটির তিন গুণ, কোনোটির চার গুণ, কোনোটির পাঁচ গুণ, এমনকি কোনোটির ১০ গুণ দাম হয়েছে।

এর পরে ব্যাংক খাতেও উত্থান শুরু হওয়ায় এই খাতের বিনিয়োগকারীরাও আশান্বিত হয়ে উঠেছিলেন।

কিন্তু জুন মাসের শুরুতে আবার ছন্দপতন। কারণ ছাড়াই কমছে দাম। সেই সঙ্গে লেনদেনের হিস্যা।

মোট লেনদেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে বৃহস্পতিবার গিয়ে ঠেকেছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।

আকর্ষণীয় লভ্যাংশে বাড়ে আগ্রহ

অন্যান্য যেকোনো খাতের তুলনায় ব্যাংকের লভ্যাংশে ইতিহাস তুলনামূলক ভালো। মহামারির এই বছরে আগের চেয়ে বেশি, বিশেষ করে নগদ লভ্যাংশ পকেট ভরিয়েছে শেয়ারধারীদের।

অথচ বলাবলি হচ্ছিল, এই খাতে আয় কমে যাবে, লভ্যাংশ নেমে আসবে তলানিতে। আবার বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দিয়ে তৈরি করে আতঙ্ক।

গত ২৭ মে এক দিনে বাড়ে সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সীমা বা আশেপাশে লেনদেন হয় ৩১টির মধ্যে ১৪টি

তবে পরে দেখা যায়, বেশির ভাগ কোম্পানি আয় করেছে গত বছরের চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা ২৯টি ব্যাংক ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি নগদে বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সঙ্গে আসছে কয়েক কোটি বোনাস শেয়ার।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি।

এ অবস্থায় ৩ মে থেকেই এই খাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এর মধ্যে ২৭ মে সব কটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি, সাতটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়, আরও সাতটির দর সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছায় তৈরি হয় ব্যাপক আশা।

স্থায়ী হলো না উত্থান

তবে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৩০ মে সংশোধনে যায় এই খাত।

পুঁজিবাজারে কোনো খাত বা কোম্পানির শেয়ার টানা বাড়ে না সাধারণত। আর তিন দিনের সংশোধনের পর ওই সপ্তাহের বুধবার আবার প্রায় সব ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ে। কিন্তু এরপর আবার টানা ছয় কার্যদিবস পড়ে যায় দাম।

২৭ মে থেকে একটি ব্যাংক দর হারিয়েছে ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, একটি ১৮ শতাংশ, একটি ১৬ শতাংশ, আর বেশ কয়েকটি ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। অথচ এই সময়ে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। লেনদেনও বেড়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১২ ও পরে ২০১৭ সালেও এভাবে অল্প সময়ের জন্য এই খাতে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরে তা স্থায়ী হয়নি।

কী বলছেন বিশ্লেষক

লভ্যাংশ ঘোষণার বিপরীতে ব্যাংকের শেয়ার দর যেভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল, সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের হাতে এখন টাকা আছে, তারা যে খাত থেকে মুনাফা পাচ্ছেন, সেখাতেই ঢালাও বিনিয়োগ করছেন। ফান্ডামেন্টাল বা ভালো কোম্পানির যাচাই-বাছাই করছেন না।’

অধ্যাপক আবু আহমেদ মনে করেন ব্যাংক খাত অবমূল্যায়িত

তিনি বলেন, ‘এতে পুঁজিবাজারে যেভাবে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই উত্থানে যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ত, তাহলেও হয়তো বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা থাকত না।’

১০ শতাংশের বেশি কমেছে যেগুলোর

গত ২৭ মে থেকে যেসব ব্যাংকের শেয়ার দর ক্রমাগত কমছে, তার মধ্যে শীর্ষে এনসিসি ব্যাংক।

২৭ মে ব্যাংকটির দর ছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা নেমে এসেছে ১৪ টাকা ১০ পয়সায়।

এই সময়ে ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অবশ্য এর মধ্যে লভ্যাংশের সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হবে। সমন্বয়ের হিসাব করলেও দাম কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর যতটা বেড়েছিল, কমেছে তার চেয়ে বেশি

ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর গত ২৭ মে ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

তবে ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হয়েছে এই ব্যাংকটির। আর এই হিসাবে দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

সাউথইস্ট ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ১৭ টাকা। বৃহস্পতিবার তা কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর ৩০ মে ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৮ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় ধরলে দাম কমেছে ১৩ শতাংশের কিছু বেশি।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৬ শতাংশ।

এই ব্যাংকের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হয়েছে ধরলে দাম কমেছে ১২ শতাংশের মতো।

ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দরও কমতে কমতে এক মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে

এবি ব্যাংকের দর ২ জুন ছিল সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা কমে হয় ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ২৬ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২২ টাকায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ধরলে দাম কমে ১১ শতাংশ।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ১৫ টাকা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়।

শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংকের দর ২ জুন ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ১২ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস হিসাব করলে দাম কমেছে ৯ শতাংশের মতো।

আশা জাগিয়েও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে সাউথ ইস্ট ব্যাংক

২৭ মে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দর ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দাম কমে হয় ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটির দর কমে হয় ২ টাকা ১০ পয়সা বা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর ২ জুন ছিল ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয় ২১ টাকা ৫০ পয়সা।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে যেগুলোর

যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল ২৩ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ছয় বছরের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেও টিকতে পারেনি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের এই সময়ের তিনি তিন গুণ আয় করা প্রাইম

ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল ৮ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দাম কমে হয় ৭ টাকা ৯০ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্যাংকটির দর কমেছে ৭০ পয়সা বা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল গত এক মাসের সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়।

শেয়ার প্রতি দর কমেছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর ১ জুন এক মাসের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। একপর্যায়ে তা বুধবার উঠে যায় ৪০ টাকায়। তবে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩৬ টাকায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা বা ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৭ মে ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।

৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে যেগুলোর

উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ উঠিছিল ৩০ মে ২৫ টাকা। বৃহস্পতিবার তা কমে আসে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত এক মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর সর্বোচ্চ ছিল ৩০ মে ৫২ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৪৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

তিন বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে উত্থানের পর আবার অভিহিত মূল্যের দিকে ছুটছে এবি ব্যাংক

সিটি ব্যাংকের গত এক মাসে সর্বোচ্চ দর ছিল ২৭ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ উঠে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ওঠে ২৫ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ছিল ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

৫ শতাংশের কম কমেছে যেগুলোর

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ বেড়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ওঠে ১৯ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ৯০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ব্যাংক খাতে উত্থান ধরে রাখতে পেরেছে ডাচবাংলা ব্যাংক

গত এক মাসে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর সর্বোচ্চ ছিল ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩০ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ৭০ পয়সা বা ২ দশমিক ২২ শতাংশ।

ব্যতিক্রম কেবল ডাচ-বাংলা

গোটা খাতে দর সংশোধনের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গত ২৭ মে দাম ছিল ৬৩ টাকা। বৃহস্পতিবার ৩ টাকা ২০ পয়সা হারালেও এর শেয়ারের দাম এখন ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা।

অর্থাৎ এক মাসে এই কোম্পানির দামে উল্লম্ফন হয়েছে। বেড়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত এক মাসে ঠিক উত্থান না হলেও দর ধরে রাখতে পেরেছে রাষ্ট্রায়াত্ব রূপালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটি ৩১ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠার পর এক পর্যায়ে ২৮ টাকায় নেমে এলেও বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে হয় ৩০ টাকা ৭০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর