বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজার ২১ হাজার কোটি টাকা পেতে পারে চলতি সপ্তাহেই

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ০৯:৩৩

গত বছরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের হতাশা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন আলোচনা, সে সময় অবণ্টিত লভ্যাংশের বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি পড়ে আছে দাবিহীন। বিএসইসি প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এই তহবিল ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার চেষ্টা করবে তারা। গঠন করা হয় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’। এই ফান্ডের সব নীতিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে বিজি প্রেসে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাবিহীন অবণ্টিত মুনাফার প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা অবশেষে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপনও জারি হতে পারে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এই তহবিলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা তারল্য সংকটের ‍সুরাহা হবে বলে আশা করছে তারা। নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাংক্ষাৎকারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বুধবার বলেছেন, ‘এটা গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে চলে গেছে।’

গত বছরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের হতাশা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন আলোচনা, সে সময় অবণ্টিত লভ্যাংশের এই বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায় ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি পড়ে আছে দাবিহীন।

বিএসইসি প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এই তহবিল ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার চেষ্টা করবে তারা। কীভাবে কী করা যায়, তার জন্য গঠন করা হয় কমিটি। বাজারে তারল্য বাড়াতে এই অর্থে ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ নামে একটি তহবিল করার চিন্তা করা হয়। সেখানে জমা হবে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ।

এর খসড়া নীতিমালা উন্মুক্ত করে মতামত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালার ওপর বিএসইসিতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেট কোম্পানি-বিএপিএলসি। তাদের বেশ কিছু আপত্তি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

এই অর্থ ব্যবহার করলে পুঁজিবাজারে তারল্যের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ২৫ মে আগেই এ-সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসের কাজের পরিধি কম থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

কীভাবে ব্যবহার হবে

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, কোম্পানিগুলোর কাছে যে অবণ্টিত বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ আছে, সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে’ চলে আসবে।

তারপর যখন কেউ তার বোনাস লভ্যাংশ দাবি করবে, তখন সেই বিনিয়োগকারীর আলাদা বিও হিসাবের মাধ্যমে তা স্থানান্তর করা হবে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কীভাবে বিনিয়োগ হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ধারণ করবে এ-সংক্রান্ত গঠিত বোর্ড। বোর্ডের প্রধান থাকবে একজন সিও।’

এই তহবিল পরিচালনা দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বিভাস সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গেজেট হাতে আসার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আইসিবি তহবিলের ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে। এর আগে সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত তহবিল পরিচালনার জন্য আইসিবি যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবে এই তহবিলেও আইসিবি থাকবে।’

তহবিলে টাকা আসবে যেখান থেকে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো প্রতিবছর যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তার একটি অংশ কখনও বিনিয়োগকারীদের কাছে যায় না। বহু বিনিয়োগকারী শেয়ার রেখে বিও হিসাব নবায়নে ফি দেন না। ফলে হিসাবগুলো স্থগিত হয়ে যায়। আবার অনেক সময় তারা ঠিকানা নবায়ন করেন না। ফলে যারা ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ফেরত চলে আসে।

বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে অনেক সময় তার মনোনীত উত্তরাধিকারী সেই টাকা আর দাবি করেন না তথ্য বা কাগজপত্রের অভাবে।

বিএসইসি দেখেছে, টাকার অঙ্কে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি টাকা।

সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ৮ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৩২১ কোটি টাকা।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অদাবিকৃত লভ্যাংশ রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড-বিএটিবিসির। এর মধ্যে ৮ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বোনাস লভ্যাংশ এবং ৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর