বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কালোটাকায় চাঙা পুঁজিবাজার: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২১:৪৩

এক বছর লকইনসহ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের আওতায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। এই বিনিয়োগ থেকে সরকার ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক যে উত্থান, তার পেছনে অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকার প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেছেন, পুঁজিবাজার চাঙা হয়েছে কালোটাকায়। এর ফলে পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের সময় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, এক বছর লকইনসহ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের আওতায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।

এই বিনিয়োগ থেকে সরকার ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, যার ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে।

আগামী অর্থবছরেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে, এটা অর্থমন্ত্রী আগেই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফলে পুঁজিবাজারে আগের মতো এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

বিদায়ী বাজেটে বলা হয়েছিল, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১৯ (এ) ধারা যুক্ত করে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। ফ্ল্যাট-প্লট ও রিটার্নে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে।

দীর্ঘ মন্দা শেষে পুঁজিবাজারে এখন সুবাতাস বইছে। শেয়ারমূল্য বাড়তে থাকায় বিনিয়োগকারীরা হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন

তবে আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী, যেকোনো সময় নির্দিষ্ট অঙ্কের জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন করার সুযোগ থাকবে।

অবশ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাকে জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরেও এই বিষয়টি অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি পরে অর্থ বিলে আসবে।

গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর পুঁজিবাজারে দেখা দেয় ধস। এর মধ্যে আগের কমিশনকে বাদ দিয়ে শিবলী রুবাইয়াতকে প্রধান করে গঠন করা হয় নতুন কমিশন।

৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জুলাইয়ে লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমে বিমা খাত, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এরপর ব্যাংক ও সবার পরে বস্ত্র খাতে উত্থান ঘটে।

বিমা খাতে অবিশ্বাস্য উত্থানে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর পাঁচ গুণ হয়েছে, কোনো কোনো কোম্পানির হয়েছে ১০ গুণ। ব্যাংকের শেয়ার দরও কোনো কোনোটির দেড় গুণ হয়েছে, একটির আবার তিন গুণ হয়েছে।

শেয়ার দর বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের সূচক সোয়া তিন বছর পর উঠেছে ছয় হাজার পয়েন্টের ওপর। আর লেনদেনও এখন নিয়মিতভাবেই হচ্ছে দুই হাজার কোটির ঘরে।

এ বিভাগের আরো খবর