বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২২:০৭

‘এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’

মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর্যায়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে এখন প্রধান লক্ষ্যই হলো নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অধিকহারে প্রবেশ করা।’

এ জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ, প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যগ্রিমেন্ট –পিটিএ এবং রিজোনাল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট-আরটিএ এর মতো পদক্ষেপগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।

ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রি টেড অ্যাগ্রিমেন্ট-এফটিএ করার চেষ্টায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর লক্ষ্যে সম্ভাব্যতাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

বুধবার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটি’ শীর্ষক ভার্চু্য়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএমসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল (রকি) এর সভাপতিত্বে ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মোস্তফা আবীদ খান।

সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার।

আলোচনায় অংশ নেন বিএমসিসিআইর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং এফবিসিসিআইর সদ্য নির্বাচিত পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড মালয়েশিয়ার সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, বিএমসিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার শহীদ।

আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক ব্যবসার সুযোগ উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) কার্যকারিতা মূল্যায়ন করেন। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অশুল্ক বাঁধাগুলো চিহ্নিত ও এর প্রভাব কাটিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ চুক্তিপর্যায়ে পৌঁছাতে পারে এবং এতে লাভ কী হতে পারে তা তুলে ধরেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়াই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। এই সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

‘এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এই জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।’

বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতেও বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

এসবের ফলে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মালয়েশিয়াও বাংলাদেশে বিনিয়োগের এই চমৎকার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।

১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে সাগর বাণিজ্য চুক্তি, ১৯৯২ সালে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি এবং ১৯৯৪ সালে দ্বৈতকর বাতিল চুক্তি সই করে মালয়েশিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর