দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে কমেছে আমদানি-রপ্তানি। এই বন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সিংহভাগ বাণিজ্য সম্পন্ন হলেও করোনার মহামারির এই সময়ে কমেছে পণ্যবাহী ট্রাকের আসা-যাওয়া।
বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর। প্রতিদিন ভারত থকে চারশ থেকে পাঁচশ পন্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। একইভাবে বাংলাদেশ থেকেও ১২০ থেকে দেড়শ ট্রাক যায় ভারতে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতায় বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এখন ভারতে যেতে চাচ্ছে না। এছাড়া সীমান্তে লকডাউন থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে নানান প্রতিবন্ধকতা। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সার্বিক আমদানি রপ্তানিতে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। ভারতে করোনার প্রভাব বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা ভারতে যাচ্ছে না। তাছাড়া সীমান্ত লকডাউন রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য কম হচ্ছে। বর্তমানে আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ কমে ৩০০ ট্রাকে নেমে এসেছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কম হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিঘ্ন হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের অতিরিক্ত পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দুদেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাণিজ্য অনেক কমে গেছে।
তিনি বলেন, দেশে লকডাউন থাকায় আমদানিকারকরাও বন্দর থেকে পণ্য খালাস করছেন না। এতে বন্দরে পণ্যজট সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে। একইভাবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।