বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হন: খাদ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৪ মে, ২০২১ ১৮:৪৪

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি কৃষক যাতে কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যান।’

চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সংকট থাকবে না জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তবে এ কার্যক্রমে কৃষকেরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান তার।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি কৃষক যাতে কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যান।

‘চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন।’

এ সময় এই দুই বিভাগের প্রতিটি জেলায় করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

এবারের বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

এতে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্যনতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।

‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনা-পরবর্তী খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করার জন্যও আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে বলেও মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী।’

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম বলেন, ‘কোনোভাবেই পুরনো চাল নেয়া যাবে না। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল।’

ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসকরা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর