বিদেশি কোম্পানিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্পন্সর হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৭২তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, এই সুবিধা এর আগে ছিল না। এই পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য হলো পুঁজিবাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে সহজ করা।
বিএসইসি মনে করছে বিদেশি স্পন্সর থাকলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে শৃঙ্খল আসবে। এই খাত নিয়ে বিনিয়োগকারীরাও উৎসাহী হবে।
কমিশন সভায় ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী পূর্ণাাঙ্গভাবে বিশেষ নিরীক্ষা করতে একজন নিরীক্ষক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মূলধন সংগ্রহে আবেদনের সময় বাড়ল
সভায় মহামারি বিবেচনায় নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদনের সময়সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৬০ দিন বাড়ানো হয়।
কমিশনের মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে ডেবিট এবং ইক্যুইটি সিকিউরিটি ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের জন্য কমিশনে আবেদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিবরণী, প্রতিবেদন, তথ্যাদি ইত্যাদি কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিপোজিটরি কোম্পানিতে প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের সময়সীমার সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এর আগে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য আর্থিক হিসাব বিবরণী, প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য দিতে এক মাস বাড়তি সময় দেয় বিএসইসি। তখন কোম্পানির এসব তথ্য প্রদানের বিলম্বের কারণে সিকিউরিটিজ আইনের ব্যতয় হবে না বলে জানানো হয়।
কমিশন সভায় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১ জনমত যাচাইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে তা অনুমোদন প্রদান করা হয়। শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়।