দেশে প্রথমবারের মতো ভয়েস কমান্ড বা কথা বলা এসি বাজারে ছেড়ে ঈর্ষণীয়ভাবে লাভবান হয়েছে ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনের অন্যতম কোম্পানি ওয়ালটন।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ওয়ালটনের এ বিশেষ ধরনের এসির বিক্রি বেড়েছে। ওই এসিসহ সব ধরনের এসি বিক্রি বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ।
দেশজুড়ে চলা তাপদাহ ও রোজার সময় অসহনীয় গরমের কারণেও বেড়েছে এসির বিক্রি। অসহ্য গরম থেকে প্রশান্তি পেতে এবং লকডাউনের কারণেও দেশসেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কথা বলা এসির চাহিদা বেড়েছে।
এদিকে, বেশি উৎপাদন, বেশি বিক্রির ফলে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষও ক্রেতাদের দিচ্ছে আকর্ষণীয় বেশকিছু সুবিধা।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১০ এর আওতায় এসির ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, ফ্রি ইন্সটলেশন ও হোম ডেলিভারির সুবিধা। এ ছাড়া নির্দিষ্ট মডেলের এসি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে কেনার সুযোগ রয়েছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে এক বছরের ইএমআই এবং ৩৬ মাস পর্যন্ত সহজ কিস্তি সুবিধা।
‘হ্যালো ওয়ালটন’ বললেই চালু হবে এসি
চলতি বছর ৪ মার্চ গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় এসি সার্ভিস এক্সপার্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ সম্মেলনে নতুন মডেলের এই কথা বলা এসি উন্মোচন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন সারা দেশের সহস্রাধিক এসি সার্ভিস এক্সপার্ট।
এ সময় ওয়ালটনের এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বা আরঅ্যান্ডডি’র বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ইনস্টলেশনের পর পাওয়ার সংযোগ থাকা অবস্থায় ভয়েস কমান্ড দিয়ে পরিচালনা করা যাবে এসিটি। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা অবস্থায় এটি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকবে। এ সময় ‘হ্যালো ওয়ালটন’বললে এসিটির ‘অ্যাকটিভ মোড’ অন হবে। এরপর ‘এসি স্টার্ট’ বললে এটি চালু হবে। এ সময় ব্যবহারকারী কথা বলে নির্দেশনা দিয়ে এসিটি পরিচালনা করতে পারবেন। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সেট করতে ‘কুল মোড’ কমান্ড দিয়ে কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা বলতে হবে। এ সময় ‘টুয়েন্টি ওয়ান ডিগ্রি’ বললে এসিটির তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রিতে সেট হবে। এসি বন্ধ করতে ‘এসি অফ’ বলতে হবে।
১০ সেকেন্ড কোনো কমান্ড না দিলে এসিটি ‘স্ট্যান্ডবাই মোড’ এ চলে যাবে। এ ক্ষেত্রে পুনরায় ‘হ্যালো ওয়ালটন’বলে ‘অ্যাকটিভ মোড’ অন করতে হবে। একটি কমান্ড দেওয়ার অন্তত তিন সেকেন্ড পর আরেকটি কমান্ড দেয়া যাবে।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, স্থানীয় বাজারে এ বছর ইউরোপিয়ান ডিজাইনের অত্যাধুনিক ফিচারের এক টন, দেড় টন ও দুই টনের নতুন মডেলের স্প্লিট টাইপ এসি ছেড়েছে ওয়ালটন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হচ্ছে ইনভার্টার প্রযুক্তির সুপারসেভার ইনভার্না এসি।
প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ইনভার্টার প্রযুক্তির ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আয়োনাইজার ও অ্যান্টিভাইরালের সমন্বয়ে ডুয়েল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ইউভি (আল্ট্রা ভায়োলেট) কেয়ার প্রযুক্তি ঘরের বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসির অভ্যন্তরে জমা বরফ গলিয়ে বাইরে বের করে দেবে। এতে এই এসির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ হবে নির্ঝঞ্ঝাট।’