ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির তীব্রতায় হাসপাতালে হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক মানুষ কেবল অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহে এগিয়ে এলো অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান মারুতি সুজুকি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সর্ববৃহৎ গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান মারুতি সুজুকির হরিয়ানার কারখানা আগামী ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কারখানার ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেন পাঠিয়ে দেয়া হবে বিভিন্ন হাসপাতালে।
তবে এ সময়ে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কারখানা অলস বসে থাকবে না।
জাপানি অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান সুজুকির সাবসিডিয়ারি ভারতের মারুতি-সুজুকি। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে কারখানা সংস্কারের কাজ চালায় প্রতিষ্ঠানটি। যা এ বছরও হওয়ার কথা ছিল আসছে জুন মাসে।
কিন্তু মানবিক কারণে অক্সিজেন সরবরাহের লক্ষ্যে এ বছর সে সময় এক মাস এগিয়ে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুজরাটের একটি উৎপাদন কেন্দ্রও একই লক্ষ্যে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে মারুতি-সুজুকির।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘গাড়ি উৎপাদন শিল্পের অংশ হিসেবে মারুতি-সুজুকির কারখানায় স্বল্প হারে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়। বর্তমান মহামারি পরিস্থিতিতে এই অক্সিজেনের পুরোটাই মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মহামারির কারণে মানবিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কারখানা বন্ধ করে অক্সিজেন হাসপাতালে সরবরাহের ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে মারুতি সুজুকির শেয়ারের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে রেকর্ড তিন হাজার ২৯৩ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারতে ছোঁয়াচে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে ।
মঙ্গলবার টানা সপ্তম দিনের মতো দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখের বেশি ছিল।
করোনার অনিয়ন্ত্রিত বিস্তারে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে রাজধানী দিল্লিসহ দেশটির প্রায় সব বড় শহরে। প্রয়োজনের তুলনায় মেডিক্যাল অক্সিজেন, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দেয়ায় চিকিৎসা ছাড়াই প্রাণ যাচ্ছে অনেকের।