চলমান লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারে বিমা খাতে শেয়ারে যে উত্থান দেখা যাচ্ছে, তাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাধারণ বিমা খাতের ১৯টির শেয়ারের দর।
৫ এপ্রিল থেকে একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ দাম বেড়েছে। মাত্র ১৬ কার্যদিবসে এই পরিমাণ দাম বাড়ার কী কারণ, তা নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে।
বিমা খাতে হঠাৎ এই চাঙাভাব নিয়ে শেয়ারধারীরা যেমন উৎফুল্ল, তেমনি পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি কিছুটা অবাকও। কারসাজি হচ্ছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখার পরামর্শও এসেছে।
১৯টি কোম্পানির মধ্যে আবার ৬টির দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনকে কেন্দ্র করে আগের কয়েক দিন পুঁজিবাজারে ছিল অস্থিরতা। পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে, এই আশঙ্কায় কম দামে শেয়ার বিক্রি করে দেন অনেকে।
তবে লকডাউনে বাজারে সার্বিকভাবে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। আর এর জন্য প্রধানভাবে অবদান রেখেছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো।
এই খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে সাধারণ বিমার কোম্পানি আছে ৪৮টি, আর জীবন বিমার ১২টি। এর মধ্যে বেড়েছে প্রধানত সাধারণ বিমা কোম্পানির দাম।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
নানা সময় পুঁজিবাজারে কোনো একটি খাতের শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু এ রকম উল্লম্ফন ২০১০ সালে মহাধসের আগেও কোনো খাত নিয়ে দেখা যায়নি।
গত বছর বিমা কোম্পানির শেয়ারে দরবৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু গুজব কাজ করছিল। এজেন্টের কমিশন কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, গাড়ির তৃতীয় পক্ষের বিমা বাতিল করে প্রথম পক্ষের বিমা চালু হলে আয় বাড়বে, লভ্যাংশ বাড়বে, এমন কথা বলাবলি হয়।
এরপর আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বিমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম; কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়।
আবার ১০ বছর আগে করা একটি বিধান সামনে আনা হয়, যেখানে বলা ছিল, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ থাকতে হবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এমনটি হলে বিমা কোম্পানির শেয়ার মালিকদেরই কিনতে হবে।
কিন্তু আয় বা লভ্যাংশ বাড়ার গুজব সত্য প্রমাণ হয়নি। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ নিজেদের হাতে রাখার যে আইন করা হয়েছে, সেটিও কার্যকর হয়নি। তবু আবার ঢালাও দর বৃদ্ধিতে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
আবার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। মৌলভিত্তির শক্তিশালী কোম্পানি হিসেবে পরিচিত, প্রতিবছর ভালো মুনাফা করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির তুলনায় দাম বেশি হচ্ছে দুর্বল কোম্পানির, যেগুলোর মুনাফা দেয়ার হার কখনো ভালো ছিল না।
সব শেষ সোমবার বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) পক্ষ থেকে জারি করা আরেক নির্দেশনা এই খাত দিয়ে আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবরের পর থেকে কোনোভাবেই প্রিমিয়াম জমার বিপরীতে হাতে লেখা রসিদ দেয়া যাবে না। আর এই খবরে দরপতনের বাজারেও বেড়েছে বিমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর।
সবচেয়ে বেশি বাড়ল যেগুলোর দাম
৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর দিন প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ছিল ৯৫.৪ টাকা। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১৪৩ টাকা ২০ পয়সা। তবে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার হিসাব করলে প্রকৃত দাম দাঁড়ায় ১৭১ টাকা ৮০ পয়সা।
অর্থাৎ লকডাউনে এই কোম্পানির দাম বেড়েছে ৭৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি হয়েছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের। এর বর্তমান শেয়ারদর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৭৩.৭৫ শতাংশ।
সিটি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৫৭.২২ শতাংশ।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৭২ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪৬ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৫৬.৮৩ শতাংশ।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫০ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৫৩.৩৫ শতাংশ।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ২৭ টাকা ৭০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৫৩.০৩ শতাংশ।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩০ টাকা ২০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৪১.৭৮ শতাংশ।
৩০ শতাংশের বেশি বাড়ল যেগুলো
ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৮.২২ শতাংশ।
বিজিআইসির বর্তমান শেয়ারদর ৪৯ টাকা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৫.৫০ টাকা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
বিএনআইসিএলের বর্তমান শেয়ারদর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৭৯ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৭.৯ শতাংশ।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৭.২ শতাংশ।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৬.৯১ শতাংশ।
পিপলস ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৪ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৬.২৫ শতাংশ।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৮ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৫.৭৬ শতাংশ।
সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৬১ টাকা ২০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪৫ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৫.৭ শতাংশ।
রূপালী ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৮ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৮ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৪.৬২ শতাংশ।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৪.৪৯ শতাংশ।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩২ টাকা ২০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৪ টাকা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৪.১৬ শতাংশ।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৯ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩২.৫৩ শতাংশ।
আরও ১২ কোম্পানির দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে
তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪৭ টাকা ৪০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৯.১০ শতাংশ।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৮.৯ শতাংশ।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৭৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৮.৫২ শতাংশ।
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৮.৪৫ শতাংশ।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪৪ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৫ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৫.২৮ শতাংশ।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫২ টাকা ৫০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৪.১১ শতাংশ।
রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২১.৬৪ শতাংশ।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩১ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২১.৪৭ শতাংশ।
প্রগতি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪৯ টাকা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২১.৪২ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২১.৪০ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৬৮ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ১৭.৮ শতাংশ।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ১১৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৯৮ টাকা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ১৬.২২ শতাংশ।
পাঁচ কোম্পানির দাম বাড়েনি খুব একটা
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৫০ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৪১ টাকা ১০ পয়সা। ১৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৯ শতাংশ।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৯৬ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৮.৬ শতাংশ।
নিটোল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৩ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৪৯ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৬.৮ শতাংশ।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৫ টাকা ১০ পয়সা। ১৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৫৩ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২.৭৯ শতাংশ।
কমেছে দুটির দাম
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৯৪ টাকা ২০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ১০৯ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর কমেছে ১৪.১২ শতাংশ।
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান শেয়ারদর ৫৮ টাকা। ৫ এপ্রিল শেয়ারদর ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির শতকরা হিসাবে দর কমেছে ৪.১ শতাংশ।
আবু আহমেদের ধারণা, কারসাজি
বিমা কোম্পানির শেয়ারের এভাবে দর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত আবু আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ খাতে কারসাজি হচ্ছে। মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা ঢালাওভাবে বিমায় বিনিয়োগ করছেন। এতে বিমা খাতের যে উত্থান হচ্ছে, তা লকডাউনের এই সময়ে আর কোনো খাতে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, তারা কখনও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে না। বরং সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত দিনের জন্য তারা কোনো একটি কোম্পানি বা খাতে বিনিয়োগ করে। তারপর কেনা শেয়ার বাধ্য হয়ে বিক্রি করে নতুন করে বিনিয়োগ করে। কিন্তু আমি এখনও শুনতে পারিনি যে মার্জিন ঋণ নিয়ে কেউ বড় অঙ্কের লাভবান হয়েছে।’
বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিমার শেয়ারের দর বাড়ছে বলেই শেয়ার কিনতে হবে, এমন ধারণা থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হতে পারে।’