করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চলাচলে বিধিনিষেধের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
রাস্তায় চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ থাকা অবস্থায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের যাতায়াতে যেন বাধা দেয়া না হয়, সে অনুরোধ করেছে তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
বুধবার চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যে পুলিশ পাস ছাড়া বের হলে পুলিশ দেখতে পেলে তাকে বাধা দিয়েছে। এমনকি এক চিকিৎসককে জরিমানা করার ঘটনা ঘটেছে।
আবার পাস নিয়ে উত্তরা থেকে মালিবাগ আসতে দেখে একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, তিনি শিং মাছ কিনতে যাচ্ছেন। পুলিশ মনে করেছে, এটি পাসের অপব্যবহার।
গত ৫ এপ্রিল থেকে প্রথমে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ জারি হলে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করতে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মীর যাতায়াতে কোনো সমস্যায় পড়েননি। সে সময়ে আসলে পুলিশ কাউকে বাধা দেয়নি।
তবে এবার কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কারণে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে। কারণ, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকার যে তালিকা দেয়া হয়েছে, তাতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কথা লেখা নেই।
এই অবস্থায় বিএসইসির যুগ্পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজার চালু থাকবে। বিএসইসি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এ সময়ে বিএসইসি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের দাপ্তরিক যাতায়াত আরোপিত বিধিনিষেধ এর আওতামুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।
এবার কঠোর বিধিনিষেধে ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশ আসার পর পুঁজিবাজারে লেনদেনও এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে মঙ্গলবার সরকার ব্যাংক চালু রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করার পরে সিদ্ধান্ত নয় সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টা লেনদেন চলবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এরপর বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। গত ৫ থেকে ১২ এপ্রিল লেনদেন হয়েছে এর চেয়ে আঘা ঘণ্টা কম।
আগের সপ্তাহের মতো আগামী এক সপ্তাহেও ব্রোজারেজ হাউকে বিনিয়োগকারীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা লেনদেন করবেন অ্যাপের মাধ্যমে বা ফোনে অর্ডার দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জানান, বিধিনিষেধের মধ্যে ডিএসইর অফিস খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।