সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে বুধবার থেকে খোলা থাকবে কাঁচাবাজার। এর মধ্যে যেসব বাজারের পাশে উন্মুক্ত স্থান রয়েছে, সেগুলো উন্মুক্ত স্থানেই বসবে। আর যেসব বাজারের সে সুযোগ নেই, সেগুলোতে থাকবে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা ও দূরত্ব।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত আট দিনের লকডাউনে ১৩ দফা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে নির্দিষ্ট সময় খোলা থাকবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান। পণ্য পরিবহনও চলবে।
কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আলাদা বৈঠক করে দুই সিটি করপোরেশন। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়সহ কাঁচাবাজারের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ ও লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ প্রয়োগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা সম্পত্তি বিভাগের মাধ্যমে ১০টি অঞ্চলে ডেঙ্গুর লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। একই সঙ্গে লকডাউনের বিধিনিষেধ যাতে বাস্তবায়ন হয়, পরিপালন হয়, বাজারগুলো যাতে তিনটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, সকাল ৯টার আগে না খোলে– এগুলো সবকিছুই তারা তদারকি করবেন।
ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ দিকে ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনে বেশ কটি কাঁচাবাজার খোলা স্থানে নেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানা ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা উত্তরের সব বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক হয়েছে। গুলশান-১ ও ২ এর কাঁচাবাজার পাশের অভ্যন্তরীণ সড়কে স্থানান্তর করা হয়েছে। বনানী কাঁচাবাজার ফুড কোর্টের জায়গায় বসানো হবে। মহাখালীতে খালি জায়গা না থাকায় তারা ভিতরেই বসবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আবার মোহাম্মদ পুর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বন্ধ থাকবে।
কারওয়ান বাজার মার্কেটের ভিতরে যে বাজার, তা সিটি করপোরেশনের আওতায়। কিন্তু মার্কেটের বাইরে অংশ অবৈধ।
সমস্যা হচ্ছে, ডিএনসিসির মালিকানার বাইরে বিভিন্ন জায়গার বাজারগুলো। সেগুলোও তদারকির আওতায় আনা হবে, যাতে তারা খোলা রাখতে না পারে বা বিধি ভঙ্গ করতে না পারে। এজন্য সব বিষয় মিলিয়ে ডিএনসিসির ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বাস্থ্য বিধি পালনে মাঠে থাকবে।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বাজার সরবরাহ ঠিক রাখতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ জন্য নিত্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন ও বিপণনে কোনো সমস্যা হলে সহযোগিতার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল সেলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।