বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: দরপতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৫৭

যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ৫ টাকার নিচে, সেগুলোর দাম কমতে পারবে না, যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৫ থেকে ১০ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ১০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ১০ থেকে ১৫ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা, যেগুলোর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা, যেগুলোর দম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভেতর, সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, যেগুলোর দম ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার কম, সেগুলোর এক টাকা কমতে পারবে এক দিনে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দরপতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক দিনে শেয়ারের দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। তবে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশের সীমা থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৫ টাকার নিচে নেমে গেছে, সেগুলোর দাম কার্যত কমতে পারবে না। কারণ, কোনো কোম্পানির দাম কমা বা বাড়ার সময় সর্বনিম্ন হিসাব হয় ১০ পয়সা করে। ৫ টাকার নিতে যেসব শেয়ারের দাম, সেগুলোর ২ শতাংশ ১০ পয়সার চেয়ে কম।

বিনিয়োগকারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে ‘মন্দের ভালো’ বলেছে।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের মধ্যেই ৬৬টি কোম্পানির এই সর্বনিম্ন দাম প্রত্যাহার কার নেয়া হয়।

এই সিদ্ধান্তের পর গত বৃহস্পতিবার এসব কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের ব্যাপক দরপতন হয়। ১০ শতাংশ বা কাছাকাছি দর হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ফেসবুকে পুঁজিবাজার বিষয়ক নানা ফেসবুক পেজে। তারা প্রশ্ন তুলছেন, লকডাউনের মধ্যে যখন বাজার নিয়ে আতঙ্ক, তখন কেন এই ফ্লোর প্রত্যাহার করতে হলো।

রোববার দ্বিতীয় কার্যদিবসে আরও বেশি দরপতনের শঙ্কা যখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, তখন বিএসইসি এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে।

নিশ্চিত করে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস থাকায় আমাদের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) সদস্য। সেখানে আমাদের ক্যাটাগরি ‘এ’। দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে বাজার ম্যানিপুলেট করায় আমাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

‘কিন্ত করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা দর পতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলেঅর শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে, তবে কমবে ২ শতাংশ করে।’

এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে মনে করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার এই সময়ে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। তবে যেহেতু এই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, সেটা মানতে হবে। আর এখন বিএসইসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। এতেও সম্ভাব্য বেশি লোকসান থেকে রক্ষা পাবে বিনিয়োগকারীরা।

কোন কোম্পানির কত কমতে পারবে

বস্ত্র খাতের কোম্পানি আর এন স্পিনিং এর সবশেষ দাম ৩ টাকা ৭০ পয়সা। এর দুই শতাংশ হয় ৭.৪ পয়সা। কিন্তু ১০ পয়সার কমে কোনো শেয়ারের দাম কমা বা বাড়ার সুযোগ নেই। তাই ফ্লোর প্রত্যাহার করা হলেও এই কোম্পানির শেয়ার দর কমতে পারবে না।

এ ছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৫ থেকে ১০ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ১০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ১০ থেকে ১৫ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা, যেগুলোর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা, যেগুলোর দম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভেতর, সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, যেগুলোর দম ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার কম, সেগুলোর এক টাকা, যেগুলোর দর ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার কম সেগুলোর সর্বোচ্চ এক টাকা ১০ পয়সা, যেগুলোর দর ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে, সেগুলোর দর এক দিনে সর্বোচ্চ এক টাকা ২০ পয়সা কমতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর