করোনা মহামারির সময় মন্দা পুঁজিবাজারে এরই মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। এতে আতঙ্কে মার্জিন ঋণ বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনা বিনিয়োগকারীরা।
ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনার পর শেয়ার দর কমে গেলে ঋণ সমন্বয়ের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করে থাকে।
এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ফোর্স সেল বা বিনিয়োগকারীর অনিচ্ছাকৃত শেয়ার বিক্রি থেকে রক্ষা করতে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন সীমা অনুসারে, পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ১:০.৮ অনুপাতে ঋণ পাবেন বিনিয়োগাকরীরা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ ১০০ টাকা হলে তাকে শেয়ার কেনার জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান নিউজবাংলাকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাতে তারা ফোর্স সেলের সম্মুখীন না হন। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে।
সোমবার থেকে বিএসইসি-এর এ নির্দেশনা কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
এর আগে বিনিয়োগকারীদের নিজেদের বিনিয়োগের বিপরীতে ১:০.৫০ অনুপাতে মার্জিন ঋণ প্রদানের নির্দেশনা ছিল। অর্থাৎ নিজস্ব ১০০ টাকা বিনিয়োগ থাকলে বিনিয়োগকারীরা মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আরও ৫০ টাকা ঋণ সুবিধা পেতেন।
তবে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের বেশি হলে ১:০.৫০ হারেই মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।