বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজিএমইএ নির্বাচন: রুগ্‌ণ প্রতিষ্ঠানের জন্য এক্সিট প্ল্যান ফোরামের

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫৪

৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট (২০১৯-২১ মেয়াদে) ও পরিচালক প্রার্থী ড. রুবানা হক।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে ১৩ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জোট ফোরাম।

ইশতেহারে রুগ্‌ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য এক্সিট প্ল্যান করে দিতে একটি তহবিল গঠনের কথা বলেছে তারা।

৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ও পরিচালক প্রার্থী ড. রুবানা হক।

প্যানেলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এবিএম সামছুদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফোরামের আহ্বায়ক আসিফ ইব্রাহিম।

দ্বিবার্ষিক (২০২১-২৩) এই নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামের দুটি প্যানেলের অধীনে নির্বাচন করছেন প্রার্থীরা।

ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি ও হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ বি এম সামছুদ্দিন। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সহসভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের প্রধান ফারুক হাসান।

মঙ্গলবার ফোরামের ইশতেহার ঘোষণায় রুবানা হক বলেন, ‘করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৈরি পোশাক খাত। ফোরাম প্যানেল এ খাতের যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত। গত পাঁচ বছরে আমাদের পণ্যের দাম অনেক কমেছে। নির্বাচিত হলে বিজিএমইএর মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করব। আগামীতে এই শিল্প টিকে রাখতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তার প্রস্তুতিও রয়েছে।’

ফোরামের ১৩ দফা ইশতেহার

ইশতেহারে প্রথমে রয়েছে পোশাক খাতের ভাবমূর্তি রক্ষা করে টেকসই পোশাক খাত গঠন করা। এ ছাড়া শ্রমিকদের কল্যাণের মাধ্যমে বিজিএমইএকে আরও স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলা, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় কমানো ও ব্যবসায় সহজীকরণ, বাজার সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, রুগ্‌ণ শিল্প ও এক্সিট পলিসি, পণ্যের দাম ও ক্রেতার জবাবদিহি, শিল্পের নিরাপত্তা ও নিজস্ব সক্ষমতা, প্রযুক্তি সক্ষমতা, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, দক্ষতা ও উদ্ভাবন, সাসটেইনেবিলিটি ও এসডিজি অর্জন।

ইশতেহারে বলা হয়, ফোরাম আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে কারখানা স্থাপনের সুদের হার কমিয়ে ৫০ ভাগ করা হবে। ব্যাংকিং সংক্রান্ত নীতি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতিও আসে। অক্ষম শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ প্রস্থানে গঠন করা হবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল। শিল্প মালিকদের জন্য বিমা এবং কল্যাণ তহবিল করা হবে। ক্রেতাদের সঙ্গে ক্রয়াদেশ চুক্তির ক্ষেত্রে একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট’ তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেয় ফোরাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শ্রমিক কল্যাণ ও পরিচ্ছন্ন বিজিএমইএ গড়তে ফোরাম নির্বাচিত হলে তিন মাস পরপর পরিচালকদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করা হবে। পরিচালকরা যাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদস্যদের অনুসন্ধানের জবাব দেয় সেই নিশ্চয়তা দেয়া হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গড়তে পুরো কার্যক্রমকে ইআরপির (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং বা উদ্যোগ সম্পদ পরিকল্পনা) আওতায় আনা হবে। বিজিএমইএকে শুধু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানই নয়, সর্বোপরি এটিকে পোশাক মালিকপক্ষের ‘সমন্বিত ফোরাম’ হিসেবে তৈরি করা হবে। বিজিএমইএর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিইউএফটি (বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি) ট্রাস্টি বোর্ডকে পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হবে। বিজিএমইএতে ভার্চুয়াল কমপ্লেইন বক্স প্রতিষ্ঠা করা হবে। বৃহ্ৎ শিল্পগুলোকে নিয়ে একটি ডিসকাশন গ্রুপ তৈরি করা হবে।

এর আগে ১৬ মার্চ অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জোট সম্মিলিত পরিষদ তাদের ইশতেহার ঘোষণা করে।

এ বিভাগের আরো খবর