করোনাকালে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার কুয়েত দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর : একটি সমৃদ্ধশালী জাতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে কুয়েত দূতাবাস। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার এখন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনার মধ্যে এই অর্জন প্রশংসনীয় বলে জানান মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশের উন্নয়নকে ‘বিস্ময়কর’ হিসেবে অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই অর্জনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব কাজ করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, কুয়েতের এশিয়াবিষয়ক সহকারী রাষ্ট্রদূত আলি সুলাইমান আল-সাঈদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তার ভিডিও দেখানো হয়।
ড. আতিউর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, বাংলাদেশের সাথে কুয়েতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি ‘কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কুয়েতের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে অত্যন্ত সফলতার সাথে করোনা মোকাবিলা করছে।
রাষ্ট্রদূত আলি সুলাইমান আল-সাঈদ আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীর দিনগুলোতে বাংলাদেশ এবং কুয়েতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে কুয়েতে নিযুক্ত ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং কুয়েত, সেনেগাল ও ইয়েমেন দূতাবাসের উপমিশন প্রধান বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।