বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলআর গ্লোবাল: রিয়াজ অপসারণ না হলে বিএসইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২৩:২৮

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের মাধ্যমে ছয়টি মেয়াদি ফান্ডের এক হাজার ৫২ কোটি টাকার সম্পদ পরিচালনা করছে। ফান্ড পরিচালনায় নিজের স্বেচ্ছাচারিতায় রিয়াজ ইসলাম শুধু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ডস) রুলস ২০০১ ভঙ্গ করেননি, তিনি ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, অনুমোদনহীন বিনিয়োগ, জাল আর্থিক বিবরণী ও ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থবিরোধী নানা কার্যক্রমে লিপ্ত। এমন অভিযোগ আগেও বিএসইসি’র কাছে পাঠানোর পরও কোনো জবাব বা প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বেচ্ছাচারিতা, বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগসহ নানা অভিযোগ ওঠার পর পুঁজিবাজারে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলামকে অপসারণে বিএসইসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির বিদেশি শেয়ারধারীদের পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

গত ২৪ মার্চ এলআর গ্লোবালের বিদেশি শেয়ারধারীদের পক্ষে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দায়িত্বে থাকা কমিশনার ড. মিজানুর রহমানের কাছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাগরুব কবির নোটিশটি পাঠান।

এর আগে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টস।

কিন্ত তাতেও কোনো প্রতিকার না হওয়ায় এবার লিগ্যাল নোটিশের আশ্রয় নিলেন তারা।

নোটিশে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা, গুজব, মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসাইডার ট্রেডিং থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় বিএসইসি গঠন করা হয়েছে।

সিকিউরিটিজ আইনে পুঁজিবাজারের অবৈধ কর্মকাণ্ড তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অনুসন্ধান করাই শুধু বিএসইসির কাজ নয়, পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা আছে।

চিঠিতে বলা হয়, কমিশন চাইলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড আইনের ৩১(৩) অনুযায়ী যে কোনো অ্যাসেট ম্যানেজার কোম্পানির সিইওকে অপসারণ করতে পারে। এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামের অবৈধ কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি তাকে অপসারণে পদক্ষেপ নিতে দায়বদ্ধ।

এলআর গ্লোবালের এমন সব কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রিয়াজ ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে বিএসইসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিদেশি শেয়ারধারীরা।

নোটিশে যা আছে

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টসের। বাকি ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশের মালিক বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলাম।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের মাধ্যমে ছয়টি মেয়াদি ফান্ডের এক হাজার ৫২ কোটি টাকার সম্পদ পরিচালনা করছে। ফান্ড পরিচালনায় নিজের স্বেচ্ছাচারিতায় রিয়াজ ইসলাম শুধু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ডস) রুলস ২০০১ ভঙ্গ করেননি, তিনি ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, অনুমোদনহীন বিনিয়োগ, জাল আর্থিক বিবরণী ও ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থবিরোধী নানা কার্যক্রমে লিপ্ত।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়

এমন অভিযোগ আগেও বিএসইসির কাছে পাঠানোর পরও কোনো জবাব বা প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিয়াজ ইসলাম ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে কোনো অনুমোদন ছাড়াই লোকসানি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করেছেন। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ডস) রুলস ২০০১ ভঙ্গ করা হয়। তারপরও কমিশন কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।

ফান্ডের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তাকে কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে না। অথচ কোম্পানিটি থেকে প্রতি বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, বিএসইসি ইতোমধ্যে তদন্তের মাধ্যমে এলআর গ্লোবালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অবৈধ বিনিয়োগের প্রমাণ পেয়েছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট গত বছরের ৩ নভেম্বর জমা দেয়া হয়েছে বিএসইসির কাছে।

তদন্তে রিয়াজ ইসলামের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১৭(এ) ও ১৮ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ডস) রুলস ২০০১ এর ৩৩(৭) ও ৫৫ ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিএসইসির বক্তব্য

এ বিষয়ে প্রথমে বিএসইসির কমিশনার মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। এবং কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল কমিমের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কিছু আসেনি। আর আমার সঙ্গে কারও এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

পরবর্তীতে কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লিগ্যাল নোটিশ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আর আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো নোটিশও আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘নোটিশে আমাদের নাম থাকলে হয়তো চিঠি আসত। কিন্ত আমাদের নাম না থাকায় এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

বিডিনিউজে যেভাবে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এলআর গ্লোবাল

আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদল হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ।

২০১৯ সালের মে মাসে আসিফ মাহমুদ নিজের হাতে থাকা ৮০ হাজার শেয়ার ৮০ লাখ টাকায় (প্রতি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা) তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে আগের ২০ হাজার শেয়ারসহ মোট ১ লাখ শেয়ারের পুরোটার মালিকানা চলে যায় খালিদীর কাছে।

এর তিন মাসের মধ্যে খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কাছে বিক্রি করেন।

তিন মাস আগের হিসাবে শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকা হিসাবে ৪০ হাজার শেয়ারের দাম ৪০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।

এ বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিএসইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। বিএসইসির তিনজন উপপরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও এএসএম মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে গঠিত এ তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।

বিডিনিউজে বিনিয়াগের উদ্দেশ্য ছিল মানি লন্ডারিং

দেশের লোকসানি অনলাইন মিডিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ যে ৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছিল তার উদ্দেশ্য ছিল মানি লন্ডারিং, এমন প্রমাণ পেয়েছে এ সংক্রান্ত গঠন করা তদন্ত কমিটি।

বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই এসেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পাবলিক মানি এভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর ৫৬ বিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের নিজস্ব বিনিয়োগ মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ৪৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। প্রতিবেদনে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি দামে কোন প্রতিষ্ঠান কতটি শেয়ার কিনেছে, তার বিবরণও দেয়া হয়েছে।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ৮০০ শেয়ার কিনেছে ১ কোটি টাকায়। ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫ হাজার ১৬৬টি শেয়ার কিনেছে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৬ হাজার ৪১৪টি শেয়ার কিনেছে ৮ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়।

এ ছাড়া এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৪ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার কিনেছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৪ হাজার ৩৯৬টি শেয়ার কিনেছে ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ১৪ হাজার ৯৮টি শেয়ার কিনেছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-ওয়ান ৪ হাজার ৭৭৮টি শেয়ার কিনেছে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিডিনিউজকে একটি ‘রুগ্ন প্রতিষ্ঠান’ আখ্যায়িত করে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর দেড় থেকে আড়াই কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের বেতন অনিয়মিত। অথচ এমন একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে তিন মাসের ব্যবধানে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের সঙ্গে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়াম যুক্ত হওয়া অস্বাভাবিক।

এতে বলা হয়, রিয়াজ ইসলাম অবশ্যই জানতেন যে তার বন্ধু আসিফ মাহমুদ বিডিনিউজের প্রতিটি শেয়ার ১০০ টাকা দরে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করেছেন। তারপরেও এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের টাকা ‘অদক্ষতা ও প্রতারণার মাধ্যমে’ স্থানান্তর করেছে, যা শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে প্রতারণা। মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে এটি করা করা হয়ে থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, সম্পদ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কী আছে সেটি এখানে বড় বিবেচনার বিষয় নয়, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হলো, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানে (পুঁজিবাজারে অ-তালিকাভুক্ত) বিনিয়োগ করা যায় কিনা? মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থের প্রকৃত মালিক এর বিনিয়োগকারীরা। এই অর্থের মালিক এলআর গ্লোবাল নয়।

অনুসন্ধানের সময়ে বিডিনিউজের পাশাপাশি রংপুর ডিস্ট্রিলারিতেও একই ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে এলআর গ্লোবালের ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রমাণ পায় বিএসইসির তদন্ত কমিটি। রংপুর ডিস্টিলারির ৮০ লাখ শেয়ার তারা কিনেছে ১২.৫০ টাকা দরে। বিএসইসির তদন্ত কমিটি বলেছে, এই অনিয়মের পুরো দায় এলআর গ্লোবালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) রোনাল্ড ম্যাকি গোমেজ, হেড অফ লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স মনোয়ার হোসেনসহ বিনিয়োগ কমিটির সব সদস্যের।

এ বিভাগের আরো খবর