মহামারির বছরে আগের তুলনায় বেশি আয় করে লভ্যাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানি প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে ১৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ১৭টি বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।
বুধবার নেয়া এই সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সেদিন কোম্পানিটির দামে কোনো সীমা থাকবে না।
কোম্পানি সচিব সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএ এজেন্ট কমিশন বন্ধ করা, ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানোসহ যেসব যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তার কারণে এবার আমাদের আয় বেড়েছে।’
আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি এক টাকা ২০ পয়সা অর্থাৎ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময় আয় ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭২ পয়সা বা ৩০ শতাংশ।
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য অর্থাৎ এনএভি হয়েছে ২১ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভি ছিল ১৮ টাকা ৯৪ পয়সা।
অর্থাৎ এক বছরে শেয়ার প্রতি সম্পদ বেড়েছে ২ টাকা ১৭ পয়সা বা ১১ শতাংশ।
শেয়ারধারীরা এই লভ্যাংশ নিতে চাইলে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। আগামী ৩০ মে বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনাকালে এই সভা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সাধারণ বিমা খাতের চারটি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে প্রতিটির আয় ও লভ্যাংশ বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে বেশি।
এই খাতের কোম্পানির মধ্যে প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩২ পয়সা আয় করে তারা লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে এক টাকা।
আগের বছর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৩ পয়সা। ওই বছর তারা কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৪ পয়সা আয় করে এক টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছরও কোম্পানিটি সম পরিমাণ লভ্যাংশ বিতরণ করেছিল এক টাকা ৯৫ পয়সা আয় করে।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৩৮ পয়সা আয় করে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কোম্পানিরও আয় বেড়েছে মহামারিতে। আগের বছর শেয়ার প্রতি এক টাকা ১৭ পয়সা আয় করে ২ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা আর ২ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ২ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল কোম্পানিটি।