বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামলা করে আদায় খেলাপি ঋণের ১৮ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ২১:১৫

গত বছরের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ২৮৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা আদায়ে এই মামলা করা হয়। কিন্তু এই টাকার মধ্যে আদায় হয়েছে ১৮ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। তবে গত বছরের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতে আরও ১ লাখ ৯২ হাজার ১২১টি মামলা চলমান আছে। এর বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।

আলাপ আলোচনায় না পেরে আদালতে গিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণ আদায় করল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তবে মামলা আছে আরও পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা নিয়ে।

তবে অর্থঋণ আদালতের এই মামলাগুলো নানা কারণে নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে। আর এতে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে খেলাপিরা।

কারণ, মামলা চলাকালে ব্যাংককে কেউ টাকা দেয় না, আবার ব্যাংকও জামানত হিসেবে জমা রাখা সম্পত্তি নিলাম করতে পারে না। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তি না করে বারবার সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করে বিবাদীরা। আর এ মামলা পরিচালনার জন্য ব্যাংকের খরচ বেড়ে গিয়ে ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয় জটিলতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ২৮৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা আদায়ে এই মামলা করা হয়। কিন্তু এই টাকার মধ্যে আদায় হয়েছে ১৮ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

তবে গত বছরের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতে আরও ১ লাখ ৯২ হাজার ১২১টি মামলা চলমান আছে। এর বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বারবার ঋণখেলাপিদের সুযোগ দেয়ায় যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করতেন তারাও এখন নিরুৎসাহিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে ঋণ আদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করতে হচ্ছে। কিন্তু মামলাতে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সময়মতো মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ব্যাংকের টাকা আটকে যাচ্ছে। এতে এক দিকে ব্যাংকের মামলা পরিচালনার জন্য যেমন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।’

ব্যাংকের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে কয়েকটি বিশেষ বেঞ্চ দরকার বলে মনে করেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের আটকে আছে বেশি অর্থ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকেই ৮০ হাজার ৩৮১টি মামলা রয়েছে। যার বিপরীতে আটকে আছে ৮৫ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা।

২০১৯ সাল শেষে দেশের খেলাপি ঋণের বিপরীতে অর্থঋণ আদালতে মামলা ছিল ১ লাখ ৯০ হাজারটি। আটকে ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম জানান, ‘মামলা জটিলতায় অনেক সম্পত্তি নিলাম করতে পারে না ব্যাংক। কারণ আদালতের স্থগিত আদেশ আসে। আবার খেলাপি করতে গেলেও সেখানে স্থগিত আদেশ আসে।’

ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ে সাধারণত চার ধরনের আদালতে মামলা করে; অর্থঋণ, দেউলিয়া, সার্টিফিকেট ও দেওয়ানি আদালতে।

এর মধ্যে অর্থঋণ আদালতেই বেশির ভাগ মামলা করা হয় এবং এ আদালতেই ব্যাংকের বেশির ভাগ অর্থ আটকে আছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ‍নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। কিছু কিছু মামলা নিষ্পত্তি হতে ৮ থেকে ১০ বছর সময় পার হয়ে যায়। ফলে খেলাপিরা আরও উৎসাহ পেয়ে যায়।

‘অনেক সময় বিচারক থাকে না, আইনজীবী বারবার সময় নেয়, একটা শেষ হতে না হতেই আবার আপিল করা হয়, এসব কারণে বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর