চট্টগ্রামে মুরগির দাম আরও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বন্দর নগরীতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে গেছে। এর এক এক সপ্তাহ আগে এই দাম বেড়েছিল ২৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার নগরীর অক্সিজেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বালুছড়া ও আতুরার ডিপুসহ বেশ কয়েকটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০, দেশী মুরগি ৪৪০ এবং সোনালী মুরগি ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে সামাজিক অনুষ্ঠানের বৃদ্ধি ও সম্প্রতি একটি ফ্লুর আক্রমণে বেশ কিছু মুরগি মারা যাওয়াকে দোষছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে সরবরাহ কমায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছিল বলে জানান আতুরার ডিপু এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তাইজুল।
তা ছাড়া ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিস, বেগুন ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ২৫, শিমের বিচি ৭০, কাচা মরিচ ৩০, গাজর ২০ ও টমেটো ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে আসা নতুন সবজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায়।
তবে রমজানকে সামনে রেখে আবারও বেড়েছে লেবুর দাম। চট্টগ্রামে ছোট আকারের প্রতিটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
সাধারণ ভোজ্যপণ্যসহ মাছ ও মাংসের বাজার গত সপ্তাহের মত অপরিবর্তিত আছে।
চট্টগ্রামের বাজারে আকার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। কাতল আকার ভেদে ২৬০ থেকে ৩২০, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০, ইলিশ ৭০০ ও পাবদা ৩২০ টাকা কেজিতে।
আর খাসির মাংস ৭০০ ও গরুর ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৪০ টাকা লিটার দরে। তবে গত সপ্তাহে হঠাৎ ২-৩ টাকা বেড়েছে চিনির দাম বেড়ে গেলেও এই সপ্তাহে ২ টাকা কমেছে কেজিতে। বাজারে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৬৬ টাকা কেজিতে।
এদিকে চট্টগ্রামে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে জাত ভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় ।
আমদানি হলেও কমেনি চালের দাম। চট্টগ্রামের বাজারে মোটাচাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। বিআর ২৮ কেজি ৫৬, সরু মিনিকেট ৬২, আঠাশ মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২, নাজিরশাইল ৬২, কাটারি ৬৫ থেকে ৭০ এবং আইপেল পাইজম ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।