দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ নিশ্চিত করতে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে সরকারি পর্যায়ে আরও সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ভারত এবং থাইল্যান্ড থেকে আসবে তিন লাখ টন। অবশিষ্ট ৫০ হাজার টন আমদানি করা হবে ভিয়েতনাম থেকে।
তবে এসব চাল কী দামে আমদানি করা হবে তা চূড়ান্ত করা হয়নি। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস অফিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দর কষাকষির (নেগোসিয়েশন) জন্য।
‘রাষ্ট্রদূতরা দাম চূড়ান্ত করে আমাদের জানাবেন। তারপর দর প্রস্তাবের ফের অনুমোদন দেয়া হবে। এখন শুধু ওই সব দেশ থেকে চাল আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
সভার পর ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দরপত্রের মাধ্যমে চাল আনতে গেলে সময় বেশি লাগে এবং প্রক্রিয়াটি জটিল। সে জন্য সরকারি পর্যায়ে সারসরি আমদানি করা হবে।’
সরকারি খাদ্য মজুদ কমে যাওয়া এবং খাদ্যশস্য কেনায় ধীরগতির কারণে টেস্ট রিলিফ ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে চাল ও গমের পরিবর্তে নগদ টাকা দেয়া শুরু করেছে সরকার।
গত বোরো মৌসুম ও চলতি আমন মৌসুমে খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় চাল ও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। এর কারণেই পারিশ্রমিক হিসেবে খাদ্যশস্যের বদলে নগদ টাকা দেয়া হচ্ছে।
চাল আমদানির সিদ্ধান্ত এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার সরকার চাল আমদানি করেছে। গত বছরের শেষ দিকে এবং চলতি বছরের শুরুতেই চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার।
চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়ে যায়। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চাল আমদানি শুরু করে সরকার। এ সময় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানিও করে।
সর্বশেষ ৮ মার্চ সরকারের খাদ্যের মজুত ছিল ৬ দশমিক ২৬ লাখ টন, যার মধ্যে চাল ৫ দশমিক ২৮ লাখ টন। বাকিটা গম।
গত বছরের জুলাই মাসে সরকারের কাছে ১১ লাখ ৮৮ হাজার টন চাল মজুত ছিল।
২০১৯ সালের জুনে মজুত খাদ্যের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৭৪ হাজার টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকারি গুদামে অন্তত ১০ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকা প্রয়োজন।