সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ জন্য ডিএসসি ও সিএসসি স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিসহ, সিডিবিএল ও সিসিবিএলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সার্ভেইল্যান্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুবুর রহমানকে।
এই কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করবে। এর মাধ্যমে কেউ পুঁজিবাজারে গুজব ছড়ানোসহ কৃত্রিমভাবে ফাঁয়দা হাসিলের চেষ্টা করলে তাদের চিহ্নিত করবে। একইসঙ্গে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে।
মঙ্গলবার বিএসইসির কার্যালয়ে সংস্থার কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা সম্পর্কে বিএসইসি মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কারসাজি বন্ধে সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমকে জোড়দার করা হচ্ছে। সব ব্রোকারেজ হাউজগুলোর জন্য একটি সফটওয়্যার চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউসগুলো চাইলেই তথ্য সমন্বয় বা সংশোধন করতে পারবে না।
‘বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করায় তারা চাইলেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তের আগে তথ্য সমন্বয় বা সংশোধন করে ফেলতে পারে। এতে করে সঠিক তথ্য আড়ালে চলে যায়।’
রেজাউল করিম জানান, পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং কমানোর জন্য আলাদা ডাটাবেজ করা হচ্ছে। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালকদের আত্মীয় স্বজন কেউ জড়িত থাকলে সেটিরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।