বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউনাইটেড এয়ারকে সচলে আরও তৎপর বিএসইসি

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২১ ০১:৩২

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার হোল্ডারের স্বার্থরক্ষা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কমিশন কাজ করছে। বিএসইসি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে কাজী ওয়াহিদুল আলমকে চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের স্বাধীন পরিচালক নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে।

ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে সচল করতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুরাতন পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পুনর্গঠিত পর্ষদকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার হোল্ডারের স্বার্থরক্ষা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কমিশন কাজ করছে। বিএসইসি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে কাজী ওয়াহিদুল আলমকে চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের স্বাধীন পরিচালক নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে।

চিঠিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডিকে পুনরায় আকাশপথে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে বেবিচকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

যে কারণে নতুন পরিচালনা পর্ষদ

পাঁচ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ নতুন করে চালু করতে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বাদ দিয়ে পুনর্গঠন করা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

বিএসইসির এই সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়া হাজার হাজার মানুষ তাদের নাই হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরে পাওয়ার আশায় আছেন।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ছিলেন তাসবিরুল আলম চৌধুরী। তাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাজী ওয়াহিদুল আলমকে।

ওয়াহিদুলের এভিয়েশন ব্যবসায় অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বাংলাদেশ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি পর্যটন ও এভিয়েশন-বিষয়ক একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক।

নতুন পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে আছেন এম সাদিকুল ইসলাম, মাসকুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, মুহাম্মদ ইউনুস ও মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ।

আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটের জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ছিল। গত ১৩ জানুয়ারি কোম্পানিটিকে মূল মার্কেটে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সরিয়ে নেয়া হয় ওটিসি মার্কেটে।

সেখানে যাওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা একে একে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রির আদেশ দিতে থাকেন। ২ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রায় ৭৮ লাখ শেয়ার বিক্রির আদেশ আসে।

কিন্তু ওটিসি মার্কেটে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় এ সময়ে কোনো শেয়ার বিক্রি হয়নি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বোর্ড পুনর্গঠন হওয়ার পর আশাবাদী হয়ে ওঠেন শেয়ারহোল্ডাররা। ৩ মার্চ এক দিনেই ওটিসিতে থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৭৮ লাখ শেয়ার বিক্রি হয়ে যায়।

মূল পর্ষদের সদস্যদের শাস্তির দাবি

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এর মূল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের সভাপতি মিজানুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটি যখন তালিকাভুক্ত হয় তখন খুবই ভালো কোম্পানি ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সুযোগে সব শেয়ার বিক্রি করে এখন কোম্পানির দায়িত্ব নিচ্ছে না। এটা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএসইসি যে উদ্যোগ নিয়েছে তা পুঁজিবাজারের পক্ষে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে। কিন্তু যারা কোম্পানিটিকে ধ্বংস করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’

বিনিয়োগকারীদের এমন দাবির পর বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রোববার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুধু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ নয়, আমরা চাই সব খারাপ কোম্পানি আবার চালু হোক। এতে অন্তত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ফিরে আসার সুযোগ হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোম্পানি বন্ধ করে রাখলে কারও লাভ হবে না। চালু করে দিলে আয় আসবে। এখন আগের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে বলে এটি বন্ধ থাকবে সেটি ভাবা ঠিক নয়। বরং এটাও তাদের জন্য শাস্তি যে, তাদের কোম্পানি এখন অন্যরা চালাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর