বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারিতে মুনাফা বাড়ল ডাচ বাংলার

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৯

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ২০২০ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ (শেয়ার প্রতি দেড় টাকা) এবং ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। আগের বছরে ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। 

করোনা মহামারির মধ্যে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানির ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের। এ অবস্থায় আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ বেশি দিয়েছে ব্যাংকটি।

শনিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ২০২০ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ (শেয়ার প্রতি দেড় টাকা) এবং ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

আগের বছরে ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বলা হয়, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য খরচ বাদে যেসব ব্যাংক ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

এ নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ লভ্যাংশই দিয়েছে ব্যাংকটি। এ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৮৯ পয়সা।

সক্ষমতা অনুযায়ী আরও বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সুযোগ নেই ব্যাংকটির।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রথম প্রতিষ্ঠান ডাচ বাংলা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। করোনার মধ্যে তাদের শেয়ার প্রতি যে আয় তাতে চাইলে তারা আরও বেশি হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে পারত।

‘ডিসেম্বর ক্লোজিং হওয়ায় ব্যাংকগুলো এখন লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় নিয়ে সমাধান করে দেয়া।’

এ ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব আছে কি না জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী লভ্যাংশ দেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। কোম্পানি মুনাফা করার পর যদি তা বণ্টন করতে না দেয়া হয় তাহলে মনে করার কারণ নেই যে, সে টাকা ব্যাংকে বা প্রতিষ্ঠানে থাকবে। কোনো না কোনো খাতে সে টাকা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া সুযোগ থাকবে। যেখানে লভ্যাংশ আকারে আসলে তা একটি হিসাবের মধ্যে দিয়ে যাবে।’

গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৬৫ পয়সা।

আগামী ২৬ এপ্রিল ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হবে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নিশ্চিত করতে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা আছে ২৮ মার্চ।

পরিবর্তন হবে ফ্লোর প্রাইস

শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় রেকর্ড ডেটের পর ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফ্লোর পাইস পরিবর্তন হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি যদি রাইট বা বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ আকারে প্রদান করে তবে তার রেকর্ড ডেটের পর যে দর থাকবে তার সমন্বয় দরই হবে সেই কোম্পানির ফ্লোর পাইস।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করা হয় ফ্লোর প্রাইস। তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ক্ষেত্রেই এই দাম বেঁধে দেয়া আছে। বলা হয়েছে, এর নিচে কোনো অবস্থাতেই শেয়ারের দাম যাবে না।

বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফ্লোর পাইস নির্ধারণ করা আছে ৫৬ টাকা ৯০ পয়সা।

এর আগে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে পরিবর্তন করে ৫১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জন্য বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর