বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালডাল-যান্ত্রিককে পুঁজিবাজারে আনার চেষ্টা

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ১৯:২৬

কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকেই টাকা তুলতে পারবে। এই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলেও অন্যান্য কোম্পানির মতো শেয়ার লেনদেন হবে না। এরা যখন আরও বড় হবে, তখন সেগুলোকে আইপিওতে আসার সুযোগ করে দেয়া হবে। তখন মূল বাজারে এর লেনদেন হবে।

স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার চেষ্টার অংশ হিসাবে দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।

বৈঠকে কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, চালডাল, যান্ত্রিক, ল্যান্ডনক, হ্যালো টাস্ক, বনডেস্টিন টেকনোলজিস, ব্রোইনস্টেশন টোয়েন্টি থ্রি, ই-কুরিয়ার, খাশ ফুড, সেমড, ডিভাইন আইটি ও এনানোভাস আইটি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।

বিএসইসির কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের তো মূলধন লাগেই। আমরা বলেছি, ব্যাংক থেকে টাকা না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে নিক।’

তিনি জানান, কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকেই টাকা তুলতে পারবে।

এই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলেও অন্যান্য কোম্পানির মতো শেয়ার লেনদেন হবে না। এরা যখন আরও বড় হবে, তখন সেগুলোকে আইপিওতে আসার সুযোগ করে দেয়া হবে। তখন মূল বাজারে এর লেনদেন হবে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুঁজিবাজার থেকে স্বল্প মূলধনী কোম্পনিগুলো যেন পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে তার জন্য আলাদা একটি প্ল্যাটফর্ম বা ট্রেডিং বোর্ড চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে এই বোর্ড চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসইসি।

বলা হয়েছিল যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার কম, তারাই এই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন করতে পারবে। শর্ত দেয়া হয়েছিল, স্বল্প মূলধনী বোর্ডে আসতে আগ্রহী কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ৫ কোটি টাকা। এবং আইপিওতে আসার পর তা হবে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, মঙ্গলবার দেশের ১২টি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির সঙ্গে সভা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা কীভাবে পুঁজিবাজারে এসে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে সেটিও বলা হয়েছে।

বৈঠকে চালডাল, সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, বনডেস্টিন টেকনোলজিসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে চালডালের পরিশোধিত মূলধন ৮৩ কোটি টাকা হওয়ায় তারা তালিকায় শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবে কি না, সেটা নিশ্চিত নয়।

বৈঠকে যাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আরও একটি সেমিনার হবে। সেখানে তালিকাভুক্তির জন্য সহায়তাকারী ইস্যু ম্যানেজারদের রাখা হবে। তারাই সব প্রক্রিয়া করে দেবে। এ জন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা নিতে পারবে।

যোগাযোগ করা হলে চালডালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বিএসইসির সভা হয়েছে। সেখানে পুঁজিবাজার সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’

বিএসইসি কী বলেছে, জানতে চাইলে যান্ত্রিক কোফাউন্ডার ও চিফ অপারেটিং অফিসার বিপ্লব বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে আপনারা যদি লিস্টেড হন, তাহলে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন পাবেন। পরে আইপিওতে গেলে ভ্যালুয়েশন বেশি পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য শেয়ারের মতো লেনদেন হবে না। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মূলধন দেবেন। তারাই একটা দাম দেবেন।’

আপনারা কী বলেছেন এমন প্রশ্নে যান্ত্রিকের প্রতিনিধি বলেন, ‘আমি বলেছি, পলিসি তো পুরোটা জানি না। আমাদের পরামর্শ, পার্টনারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর