করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব সভা-সেমিনার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ব্যাংকের করণীয়’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় সকল সভা-সেমিনার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজন করতে হবে এবং বিশেষ প্রয়োজনে সশরীরে আয়োজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
‘এ ছাড়া দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত কোনো কাজে দেশের বাইরে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে হবে; তবে জরুরি প্রয়োজনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশ যেতে পারবে।’
দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে নতুন কিছু ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, সন্তানসম্ভবা নারী ও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি প্রদানের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ (বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে কান্ট্রি ম্যানেজমেন্ট টিম অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত সমজাতীয় কমিটি/টিম) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।’
এর আগে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করে দুই দফা নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংক তাদের জরুরি ব্যাংকিং সেবার তালিকা প্রস্তুত করবে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতেও যাতে এরূপ সেবা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ব্যাংকের গ্রাহক/সেবাগ্রহীতারা যাতে ব্যাংক কার্যালয়ে/শাখায়/উপশাখায় সশরীরে উপস্থিত না হয়েই তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে সকল ব্যাংককে তাদের ‘অন-লাইন সেবা’ আরও জোরদার করতে হবে।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনো সভা-সেমিনারের আয়োজন যথাসম্ভব পরিহার করতেও বলা হয় ওই প্রজ্ঞাপনে।
ব্যাংক শাখা, উপশাখা, এজেন্টসহ সব কার্যালয়ে প্রবেশ স্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়।
ব্যাংক শাখা, উপশাখা, এজেন্টসহ সকল কার্যালয়ে চলাচলের পথ, দরজার হাতল, লিফট ও অন্য যেসব স্থানে হাতের স্পর্শ লাগতে পারে সেসব স্থান কর্মদিবস শুরুর পূর্বে, পরে এবং কর্মদিবসে প্রতি এক ঘণ্টা পরপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেয়া হয়।
ব্যাংকের মুদ্রা বিনিময়, স্থানান্তর এবং স্টোরিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ রাখা ও স্থানগুলো জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত করার কথাও বলা হয় এতে।
ব্যাংকিং কার্যক্রম ছাড়া দর্শনার্থী/সাক্ষাৎপ্রার্থীদের ব্যাংকে আসা নিরুৎসাহিত করা আর উপস্থিত সবার মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশও আছে।
ব্যাংকের সব সেলস্/মার্কেটিং কার্যক্রম ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে উৎসাহ দিতেও বলা হয়েছে।