বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’

  •    
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫০

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিলামে রানার অটোর আইপিও মূল্য নির্ধারণ হয় ৬৭ টাকায়, বাজার দর ৫০ এর নিচে; বসুন্ধরা পেপারের আইপিও দাম নির্ধারণ ৭২ টাকা, বাজার মূল্য ৪০ টাকা, আমান কটনের আইপিও দর ৩৬ টাকা, পুঁজিবাজারে দর ২৯ টাকা ৮০ পয়সা, এসকোয়ার নিট আইপিও দাম ছিল ৪০ টাকা, পুঁজিবাজারে দর ২৩ টাকা ৬০ পয়সা।

বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের দর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ঠিক করেন ৭৫ টাকায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ ছাড়ে এই শেয়ারটি পেয়েছেন ৬৭ টাকায়।

দুই বছর যেতে না যেতেই পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর কমে হয়েছে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা।

প্রশ্ন উঠেছে, বাজারে দর ৫০ টাকার নিচে হলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোন হিসাবে এর দর ৭৫ টাকা যৌক্তিক মনে করেছেন।

২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম বছরে ১০ শতাংশ নগদ (শেয়ার প্রতি এক টাকা) আর ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পরের বছর আবার শেয়ার প্রতি এক টাকা করে পেয়েছেন তারা।

কেবল এই শেয়ারটি নয়, গত কয়েক বছরে বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দর ঠিক করে, তালিকাভুক্ত হওয়ার পর দাম তার চেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে।

দর নির্ধারণ হওয়ার পর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে শেয়ার পান। কিন্তু উচ্চমূল্যে দাম নির্ধারণ হওয়ায় আইপিওধারীদের মধ্যে যারা শেয়ার ধরে রেখেছেন, তারা আর লেনদেন শুরুর পর যারা কিনেছেন, তারা সবাই লোকসানে আছেন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি কারসাজি ঠেকাতে বুকবিল্ডিং এ দর নির্ধারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছে এ কারণেই। কিন্তু এতদিন যেসব কোম্পানির শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের কী হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমের কথাতেই স্পষ্ট যে, এই পদ্ধতিতে বেশি দামে শেয়ার দর নির্ধারণ হয়েছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দর নির্ধারনে কিছু নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত দর নির্ধারণের যে প্রবণতা কমবে।’

অর্ধেক দামে বসুন্ধরা পেপার

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড একই পন্থায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিলামে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন ৮০ টাকা। আর তা থেকে বিএসইসির নির্ধারিত ছাড়কৃত দরে বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে এই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন ৭২ টাকায়।

যারা এই কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারাই শেয়ার ধরে রাখছেন না।

সেই শেয়ারের দর এখন কমতে কমতে প্রায় অর্ধেক হয়ে ৪০ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই কোম্পানির শেয়ার পর ৩৫ টাকাতেও নেমেছিল। তবে বিএসইসির নীতিমালার কারণে এখন ৩৯ টাকা ৯০ পয়সার নিচে নামতে পারবে না। এর ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে এই দামে।

আইপিওতে ৭২ টাকায় শেয়ার কিনে লভ্যাংশ হিসাবে বিনিয়োগকারীরা ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ (শেয়ারপ্রতি দুই টাকা), ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ (শেয়ার প্রতি দেড় টাকা) আর ২০২০ সালে ১০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি এক টাকা) নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের কারখানা

আমান-এসকোয়ারেও লোকসান

আমান কটনের শেয়ার দর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্ধারণ করে দিয়েছিলে ৪০ টাকা। তা থেকে ছাড়কৃত দর ৩৬ টাকায় আইপিওতে শেয়ার পেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারে এখন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায়।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে অর্থাৎ এক টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের শেয়ার বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৪০ টাকায়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৪৫ টাকায়।

দেড় বছরের মাথায় শেয়ার প্রতি ৫৯ শতাংশ দর হারিয়ে লেনদেন হচ্ছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

এই কোম্পানিটি দুই বছরে দেড় টাকা করে মোট তিন টাকা নগদ মুনাফা দিয়েছে।

দুটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণে লোকসানে বিনিয়োগকারীরা

গত এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ার দর অবশ্য কাট অফ প্রাইসের চেয়ে বেশি আছে। তবে এর মধ্যে দুটি তালিকাভুক্ত হয়েছে একেবারে সম্প্রতি। দাম উঠানামার মধ্যে আছে। এখনও স্থিতিশীল হয়নি দাম।

তবে তালিকাভুক্তির পর দুটি কোম্পানির শেয়ার উচ্চমূল্যে কিনে এখন লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ৩১ টাকায় আইপিও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৪৯ টাকা ২০ পয়সায়।

তবে লেনদেন শুরুর পর কোম্পানিটির শেয়ার পর বাড়তে বাড়তে ১০১ টাকায়ও চলে গিয়েছিল। আর বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীদের পাঁচশ কোটি টাকারও বেশি আটকে গেছে বা তারা এই পরিমাণ লোকসানে আছেন।

আরেক কোম্পানি মীর আকতার হোসেনের শেয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্ধারণ করেছে ৬০ টাকায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা পেয়েছেন ৫৪ টাকায়। বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৮১ টাকা ৭০ পয়সায়।

তবে লেনদেন শুরুর দ্বিতীয় দিনে এই কোম্পানির শেয়ার দরও ১১৭ টাকায় উঠে গিয়েছিল। পরে কমতে কমতে এই পর্যায়ে এসে নেমেছে। দাম এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলার সময় আসেনি।

তবে এখন পর্যন্ত এই দুটি কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি।

কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কিনে দেড়শ কোটি টাকারও বেশি লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পেরেছেন বিনিয়োগকারীরা।

ভালো মুনাফা দিয়েছে ওয়ালটন

বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে সবচেয়ে লাভবান হওয়া গেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডে। কোম্পানিটি ২৫২ টাকায় আইপিও আবেদনের বিপরীতে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে এক হাজার ১৭৮ টাকায়।

এডিএন টেলিকমের ২৭ টাকায় আইপিও আবেদন করা হলেও বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

কী বলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

বিনিয়োগকারী আজমল হোসেন স্বপন বলেন, ‘এখানে প্রধান কাজ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করে। এটি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘নিলামে যে কোম্পানির শেয়ারের দর ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয় সে কোম্পানির বছর শেষে ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে লভ্যাংশও দিতে পারে না। ফলে সহজেই বোঝা যায় কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণে কারসাজি হয়েছে।’

বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খায়রুল কমিশনের সময়ও বুক বিল্ডিং নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এ পদ্ধতিতে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত বন্ধ ছিল। বেশি দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার পর কয়েকদিন দর বাড়লেও বেশিরভাগ সময় কমছে।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের এই লোকসানের দায় সম্পূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের, যারা কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণ করেছেন। তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কমিশন সম্প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু নীতিমালা করেছে। এখন দেখার বিষয় সেটি কতটা কার্যকর হয়।’

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান বিনিয়োগকারীদের। ছবি: নিউজবাংলা

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘যে পদ্ধতিতে বুকবিল্ডিং এ কোম্পানির দর নির্ধারণ করা হচ্ছে সেটিতে ওভার প্রাইসিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দর নির্ধারণের পর বিএসইসিকে সেটি যাচাই করা উচিত। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও পুঁজিবাজারের স্বার্থে সচেতন হওয়া উচিত।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে অতিমূল্যায়িত করে নির্ধারণ করা হয়। ফলে পুঁজিবাজারে আসার পর যে দর ধরে রাখতে পারে না।

‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সংঘবদ্ধভাবে এ দর নির্ধারণ করে। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো কারণ আছে।’

সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, ‘কোনো কোম্পানিকে বিডিংয়ে দেয়ার আগেই সে কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর কত হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। তারপর বিডিংয়ে যে দরটি আসবে সেটা যাচাই করা সম্ভব হবে বেশি হয়েছে, না কম হয়েছে।’

বুকবিল্ডিংয়ে কোম্পানির দর ওভার প্রাইসিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের

বুক বিল্ডিং পদ্ধতি কী

পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে দুটি পদ্ধতি চালু আছে। এর মধ্যে একটি ফিক্সড প্রাইস বা স্থির মূল্য, অপরটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতি।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দরপ্রস্তাবের মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। এই দরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিকে শেয়ার ছাড়ার অনুমতি প্রদান করেন।

তবে তার আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রোড শো বা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

এসবের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ারের প্রস্তাবিত দর সংগ্রহ করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দরের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হয় শেয়ারের মূল্য।

এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনুষ্ঠানিক দরপ্রস্তাবের আয়োজন করেন। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের নির্ধারীত দরে শেয়ার কেনার পরিমাণ ও দর প্রস্তাব করেন।

সেখানে নির্ধারিত দরে কাট-অফ বা ছাড়কৃত দরেই নির্ধারণ করা হয় আইপিও বা সাধারণ বিনিয়োগাকারীরা কী দরে শেয়ার পাবেন।

শাস্তির আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, নীতিমালায় পরিবর্তন

গত দুই বছরে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন, এনার্জিপ্যাক, মীর আকতার, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ও ইনডেক্স এগ্রোর বিডিংয়ে কাট অফ প্রাইসের তুলনায় দ্বিগুণ দর প্রস্তাব করার ঘটনাও আছে।

এ জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকি শাস্তির আওতায় এনেছে বিএসইসি।

এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবতর্ন এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান একটি কমিটি গঠন করবে। এদের মধ্যে দুইজনের নিলাম সম্পর্কে জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঐ কমিটির সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।

গঠিত কমিটির সুপারিশ করবে কারা নিলামে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কমিটির কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়ন, ইল্ড বিশ্লেষণ করে যথাযথ শেয়ারের দর নির্ধারণ করতে হবে।

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে মূল্য নির্ধারণ করবেন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, কারিগরি, পারিচালকদের অবস্থা, বাণিজ্যিক, মালিকানাসহ সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করেই এই মূল্য ঠিক করবেন তারা।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তারা কোম্পানির ইস্যুকারী, ইস্যু ম্যানেজারসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মূল্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। নিলাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশ্লেষণ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত গোপন রাখতে হবে।

নিলাম শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে যথাযথভাবে স্বাক্ষর করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে সাত দিনের মধ্যে তা কমিশনে জমা দেবেন, যাতে রিপোর্টে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না তা যাচাই করা সম্ভব হয়। প্রতিবেদনে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ (অডিনেন্স নং ১৭) অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর