বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায়ও মুনাফা বেড়েছে বিডি ফাইন্যান্সের

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:১৭

গত বছর ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করছিল প্রতিষ্ঠানটি। এবার ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার ছয় শতাংশ নগদ, ছয় শতাংশ বোনাস দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিডি ফাইন্যান্স আগের বছরের তুলনায় বেশি মুনাফা করেছে। করোনা মহামারির মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি ধরে রেখেছে লভ্যাংশের ধারাবাহিকতা।

এই প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার ছয় শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি পাবেন ৬০ পয়সা। একই সঙ্গে ছয় শতাংশ বোনাস দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিডি ফাইন্যান্স।

আগের বছর প্রতিষ্ঠানটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করছিল। তবে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

বোনাস লভ্যাংশের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার ডিএসই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, পূর্বে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও মূলধন বাড়াতে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

কোনো পুনর্মূল্যায়নহীন বা অবাস্তবহীন লাভ দেখিয়ে বা পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি, যাতে ঘোষিত লভ্যাংশ কোম্পানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা।

১৬৭ কোটি ৫০ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬০৮টি। শেয়ার প্রতি প্রায় এক টাকা ৮০ পয়সা হিসাবে মুনাফা হয়েছে ৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে ১০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসাবে বণ্টন করবে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি টাকা জমা হবে কোম্পানির রিজার্ভে।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভের পরিমাণ ১০৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

মুনাফার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সম্পদমূল্যও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য আছে ১৭ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১১ মার্চ। বার্ষিক সাধারণ সভা হবে ৩১ মার্চ। সেদিনই ঘোষিত লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে।

বিডি ফাইন্যান্সের কোম্পানি সচিব মুন্সি আবু নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি না থাকলে আমরা আরও ভালো ব্যবসা করতে পারতাম। তখন বিনিয়োগকারীদেরও ভালো লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব হব। তারপরও আমরা পূর্বের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি জানান, এই সময়ে বিডি ফাইন্যান্স খুবই সচেতনভাবে ঋণ প্রদান করেছে। কোনো এগ্রেসিভ লোন অনুমোদন করেনি।

গত এক বছরে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। আর সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৩১ টাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর