বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক দিনের উত্থানের পর আবার পতন

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৪

তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমাসহ প্রায় সব খাতের উত্থানে সোমবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। সূচক বেড়েছিল ৯৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮২ কোটি টাকা। পরের দিনই পুরো উল্টো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত।

আগের দিন উত্থানের আশা জাগিয়ে মঙ্গলবার আবারও পতনে ফিরেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দর।

তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমাসহ প্রায় সব খাতের উত্থানে সোমবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। সূচক বেড়েছিল ৯৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮২ কোটি টাকা।

পরের দিনই পুরো উল্টো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত। সোমবার রাতে ঘোষণা আসে রবি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটরটি। তখনই পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ফেইসবুক পেইজগুলোতে শুরু হয় রবির সমালোচনা।

মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই সেই সমালোচনারই বর্হিঃপ্রকাশ হলো পুঁজিবাজারে। দিনভর লেনদেনে রবির শেয়ার দর নয় দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৪৬ টাকা থেকে নেমে আসে ৪১ টাকা ৮০ পয়সায়। যেখানে আগের দিন দর বেড়েছিল নয় দশমিক ৫২ শতাংশ।

শুধু রবি নয়। মঙ্গলবার ঢালাওভাবে কমেছে ব্যাংক, বিমা, প্রকৌশল, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর।

সোমবার ব্যাংকের এক্সপ্লোজার লিমিট বিষয়ে ২২ ব্যাংকের ডিএমডির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে ব্যাংকের সক্ষমতা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে উত্থান পতনে ব্যাংকের ভূমিকা কি হতে পারে সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়া হয়।

এমন বৈঠকের এক দিন পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র দশটির। কমেছে ১৪টির, পাল্টায়নি ছয়টির।

জাতীয় বিমা দিবসে সামনে রেখে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। যেখানে বিমা খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ স্বল্প মূল্যে বিমা করার উদ্যোগের বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তার একদিন পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র সাতটির। পাল্টায়নি দুটির, দর কমেছে ৪০টির।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী গুজবে বিনিয়োগ করে। কোম্পানি কি দিতে পারবে না দিতে পারবে তার কোনো হিসেব নেই বিনিয়োগাকারীদের কাছে। ব্যাংকের বিষয়ে বিএসইসি যে বৈঠক করেছে তাতে ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি।

‘আবার মুন্নুর সিরামিকের মতো খারাপ কোম্পানির শেয়ার চারশ টাকার বেশি দামে কিনে এখন লোকসান করছে। এ ছাড়া ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে সম্পূর্ণ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এটা পরিবর্তন করা উচিত। বিনিয়োগকারীরা বলছেন এটা ভালো হয়নি। এখন কে তাদের ধারণা দেবে, দিনের পর দিন ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা মানে লোকসান থেকে বেঁচে যাওয়া।’

মঙ্গলবার প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১০টির, পাল্টায়নি ১৮টির, দর বেড়েছে ১৪টির। নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর কমেছে ১৩টির, পাল্টায়নি চারটির। আর দর বেড়েছে ছয়টির।

সূচক ও লেনদেন

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে-ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক সাত দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ০২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৪৬ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১৭৫টির, পাল্টায়নি ১০০টির।

লেনদেন হয়েছে নয়শ ৯৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮২ কোটি টাকা। ফলে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৮২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে-সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫ পয়েন্ট। এদিন লেনদেন হওয়া ২২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১০৮টির, পাল্টায়নি ৬৯ টির। এদিন লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮ কোটি টাকা।

আগ্রহ অনাগ্রহ কোম্পানি

মঙ্গলবার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে রবি, যার নয় দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমেছে। এ ছাড়া তওফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্টিসের দর কমেছে নয় দশমিক ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ।

দর বাড়ার তালিকায় প্রথমেই ছিল অনালিমা ইয়ার্ড, যার দর বেড়েছে সাত দশমিক ৬২ শতাংশ। গোল্ডেনসনের দর বেড়েছে সাত দশমিক ২৩ শতাংশ, লুব-রেফের দর বেড়েছে ছয় দশমিক ৩৮ শতাংশ। বিকনফার্মার দর বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের দুই কোটি ৩৯ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি টাকায়। বিএটিবিসির ছয় লাখ ৬৩ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি টাকায়। রবির দুই কোটি চার লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি টাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর