বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতনে কারসাজি দেখছে বিএসইসি, ১১ হাউজে নজর

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩১

বিএসইসির মুখপাত্র বলছেন, অস্বাভাবিক সেল প্রেসার এসেছে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে। এগুলোর ওপরই চলছে নজরদারি। আট কোম্পানির কারণেই সূচক পড়েছে ৮০ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজারে হঠাৎ বড় দরপতন ভাবিয়ে তুলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ, টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন, অর্থনীতিতে গতি ফেরার পর পুঁজিবাজারে এই ধরনের পতনের পেছনে কারসাজি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পতনের দিন আগারগাঁওয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যালয়ে হয়েছে দীর্ঘ বৈঠক।

সকালে দরপতন শুরু হওয়ার পরই সংস্থার সারভেইল্যান্স টিমকে ডেকে পাঠান কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বেলা আড়াইটায় লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই ছিল এই টিমের সদস্যরা।

এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কমিশনার শামসুদ্দিন। বলেছেন, যা বলার বলবেন মুখপাত্র রেজাউল করিম।

গত ডিসেম্বর থেকে চাঙা পুঁজিবাজারে দুই সপ্তাহ ধরে ভাটার টান। তবে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে সূচক ঘুরে দাঁড়ানোয় স্বাভাবিক বাজার সংশোধন শেষ হয়েছে বলে আশাবাদী হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ‍দৃষ্টি ছিল সবার।

বিএসইসির মুখপাত্র বলছেন, অস্বাভাবিক সেল প্রেসার এসেছে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে। এগুলোর ওপরই চলছে নজরদারি।

তবে কোন হাউজ থেকে এই সেল প্রেসার, সেটি এখনই জানাতে চান না রেজাউল। বলেন, ‘তদন্ত চলছে।’

রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, বড় দরপতনের কারণ খতিয়ে দেখতে মনিটরিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পতনের সঙ্গে কোনো করসাজি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন কেন এত বড় পতন, খতিয়ে দেখার দাবি করছেন বিনিয়োগকারীরা

আট কোম্পানির কারণে সূচক কমল ৮০ পয়েন্ট

রোববার যেসব কোম্পানির অতিরিক্ত বিক্রির চাপ এসেছে, সেগুলোর মধ্যে অন্তত একটি সিকিউরিটিজের দাম কমাটি বেশ অবাক করার মতো।

গত কয়েক দিন বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দাম বেড়ে চলছিল। আগামী বুধবার লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে এর দাম বাড়ে প্রায় ১০০ টাকা। সকালে দাম আরও বেড়ে যাওয়ার পর শেয়ারের দাম ১০০ টাকার বেশি কমে যায়।

একদিনে সর্বোচ্চ দাম কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। বড় দরপতন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, একই গ্রুপের সাইনপুকুর সিরামিক আর টেলিকমিউনিকেশন খাতের রবির শেয়ারে।

এত দাম কমার মধ্যেও বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লংকাবাংলা ফিনান্স, রবি, আর নতুন শেয়ার মীর আকতার, স্কয়ার ফার্মার।

বড় মূলধনী কোম্পানির মধ্যে আটটি কোম্পানি দর হারানোতেই সূচকের পতন হয় ৮০ পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে ১৪২ পয়েন্ট।

দুই বছরে সবচেয়ে বড় দরপতনের দিন দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে

গত মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হওয়ার পরেও সূচকের এত বড় পতন দেখেনি ডিএসইতে।

এর আগে এর চেয়ে বেশি পতন হয় দুই বছর আগে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ। সেদিন ডিএসই হারায় ১৬৮ পয়েন্ট।

‘পতন স্বাভাবিক নয়’

করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, বিএসইসি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশের বাইরে রোড শো করছে, লেনদেন বাড়াতে এক বিলিয়ন ডলার বন্ড আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অবণ্টিত মুনাফা পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর পাশাপাশি আইপিও শেয়ারে লটারি বাদ দিয়ে সবার মধ্যে শেয়ার বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর এ জন্য সেকেন্ডারি মার্কেটে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগের শর্ত দেয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাজারের এই আচরণ স্বাভাবিক ঠেকছে না পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদের কাছেও।

তিনি বিএসইসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়ে নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘সূচকের পতন অল্প অল্প করে হলে বিনিয়োগকারীরা এতটা আতঙ্কিত হন না, যতটা বড় বা এক শর ওপর পতন হলে হন।’

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লেনদেন সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দেয়া হবে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়া ব্রোকার হাউজগুলোকে নজরদারি করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর