ক্রমাগত লোকসান আর আইনকানুন না মেনে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে গিয়ে উন্নতি হয়েছে পুঁজিবাজারের আরও চার কোম্পানির। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মুনাফায় ফেরা কোম্পানিগুলোকে আবার মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দিয়েছে।
চারটি কোম্পানি হলো তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মনস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড।
তবে কোম্পানিগুলোর লেনদেন কবে থেকে শুরু হবে, সেটি এখনও ঠিক করেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি ৭৬০তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চার কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে মূল মার্কেটে ফেরার অনুমোদন দেয়া হলো।
কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক উন্নতি এবং কমিশনের বিভিন্ন আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ায়, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন ২০১৫ অনুযায়ী মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএসইসি অনুমোদন দেয়ায় এখন কোম্পানিগুলো ওটিসি মার্কেট থেকে সরিয়ে মূল মার্কেটে নিয়ে আসা হবে। এর জন্য আইনি কোনো বাধা নেই।’
গত অর্থবছরে মুনাফায় ফিরেছে মুন্নু ফেব্রিক্স। ২০১৯-২০২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয়-ইপিএস বেড়েছে ৬ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের অর্থবছরের ইপিএস ছিল ৫ পয়সা।
মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে।
২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘পেপার প্রসেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড’ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন না পাওয়ায় তা বণ্টন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এই কোম্পানিটিও নিয়মিত উৎপাদনে ফিরেছে।
উৎপাদন না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, লভ্যাংশ প্রদান ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা প্রায় ৬৫টি বেশি কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
এমন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়। সে সময়ই উল্লেখিত চার কোম্পানিকে ওটিসিতে নেয়া হয়।
ওটিসিতে সবশেষ স্থানান্তর করা হয়েছে ইউনাইটেড এয়ার। দীর্ঘ দিন ধরে কোম্পানির কার্যক্রম না থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওটিসি থেকে এর আগে মূল মার্টেকে ফিরেছে ইউসিবিএল ব্যাংক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালী পেপার প্রভৃতি।