বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুক বিল্ডিং: নিলামের কারসাজি ঠেকানোর উদ্যোগ

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:২৯

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তারা কোম্পানির ইস্যুকারী, ইস্যু ম্যানেজারসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মূল্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। নিলাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশ্লেষণ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত গোপন রাখতে হবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানির শেয়ার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কারসাজির অভিযোগ উঠার পর এ বিষয়েও কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কারা কারা নিলামে অংশ নিতে পারবে, সে বিষয়ে যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিল তারা।

কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে প্রিমিয়াম নিতে চাইলে দুটি পদ্ধতি আছে।

একটি হলো ফিক্সড প্রইস পদ্ধতি, অপরটি বুক বিল্ডি। ফ্রিকড প্রাইস পদ্ধতিতে অভিহিত মূল্যে ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। তবে এখানে প্রিমিয়াম নির্ধারণের সুযোগ আছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তাদের নির্ধারিত মূল্যে সর্বনিম্ম দরের ছাড়কৃত দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দরে শেয়ার পান, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তার থেকে ১০ শতাংশ কমে পান।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে নিলাম বা বিডিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের দর কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। এতে অংশ নেয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা।

সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণে অসঙ্গতি হয়েছে মনে করে বিএসইসি শাস্তির আওতায় এসেছে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের।

এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিল বিএসইসি।

সোমবার সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান একটি কমিটি গঠন করবে। এদের মধ্যে দুইজনের নিলাম সম্পর্কে জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঐ কমিটির সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।

গঠিত কমিটির সুপারিশ করবে কারা নিলামে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কমিটির কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়ন, ইল্ড বিশ্লেষণ করে যথাযথ শেয়ারের দর নির্ধারণ করতে হবে।

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে মূল্য নির্ধারণ করবেন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, কারিগরি, পারিচালকদের অবস্থা, বাণিজ্যিক, মালিকানাসহ সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করেই এই মূল্য ঠিক করবেন তারা।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তারা কোম্পানির ইস্যুকারী, ইস্যু ম্যানেজারসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মূল্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। নিলাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশ্লেষণ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত গোপন রাখতে হবে।

নিলাম শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে যথাযথভাবে স্বাক্ষর করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে সাত দিনের মধ্যে তা কমিশনে জমা দেবেন, যাতে রিপোর্টে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না তা যাচাই করা সম্ভব হয়। প্রতিবেদনে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ (অডিনেন্স নং ১৭) অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিলামে যথাযথভাবে শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন না। ফলে দেখা গেছে লেনদেনে এসে সেই দর আর থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার স্বার্থে এ বিষয়টিকে নজরদারি করবে বিএসইসি।’

এ বিভাগের আরো খবর