বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন চায় বিএসইসি

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৭

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ দিন লেনদেন হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। একদিন লেনদেন হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে গত ১০ কার্যদিবসে বাজার অনেকটাই গতিহীন হয়েছে। এক মাস পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো লেনদেন নেমেছে এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারের মহাধসের এক দশক পর পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থান ও লেনদেনে যে গতি এসেছে, তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।

সংস্থাটির কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন তারা তিন হাজার কোটি টাকার ঘরে নিয়ে যেতে চান।

শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সংবাদ কর্মীদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম-সিএমজেএফ আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে মিডিয়ার ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করা হয় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের ব্র্যাক সিডিএমএতে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পর বেশ কিছু নীতি পরিবর্তন ও নতুন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এতে গত ডিসেম্বর থেকেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী। নিষ্ক্রিয় বিনিযোগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও লেনদেন বাড়াচ্ছেন।

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ দিন লেনদেন হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। একদিন লেনদেন হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ।

তবে গত ১০ কার্যদিবসে বাজার অনেকটাই গতিহীন হয়েছে। এক মাস পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো লেনদেন নেমেছে এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

এটি দর সংশোধন নাকি আবার আস্থাহীনতা, সেই প্রশ্নের জবাব আগামীদিনে স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএসইসির কমিশনার বলেন, ‘পুঁজিবাজার বিগত সময়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। নিয়ম নীতি সংশোধনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে কাজ করছে কমিশন।’

পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফ আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বিএসইসির কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। প্রশিক্ষণে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য প্রকাশে সহায়ক হবে।’

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও শাহিদুল ইসলাম, এপির ব্যুারো প্রধান জুলহাস আলম।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ব্যাংকের ঋণের সুদের হার এখন বিগত সময়ের তুলনায় অনেক কম। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সম্ভবনা বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে অটোমেশনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিও হিসেব খোলা, আইপিও আবেদন করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশন যে কারণে করা হয়েছে প্রকৃত পক্ষে তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে এর সুফল পাওয়া যায়।’

এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠন সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর