বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেক্সিমকো-রবির শেয়ার ছাড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫৫

গত এক মাসে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে এই দুটি কোম্পানির শেয়ার। দাম বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ। আর এর সুযোগ নিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এই সময়ে বেক্মিমকোর পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৪ টি শেয়ার বিক্রি করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। রবির শেয়ার বিক্রি করেছে তারা ২ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪০টি।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত দাম বেড়েছে পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি রবি আর বিবিধ খাতের কোম্পানির বেক্সিমকো লিমিটেডের।

রবি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১০ টাকার শেয়ার মাত্র ১৪ কার্যদিবসে উঠে ৭০.১ টাকায়। ১৫ জানুয়ারি থেকে কমছে এই কোম্পানির শেয়ারের দর। সর্বশেষ সোমবার পর্যন্ত ছয় কার্যদিবসে এই কোম্পানির শেয়ারের দর ১৫.৪ টাকা কমে লেনদেন হচ্ছে ৫৪.৭ টাকায়।

আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, যার শেয়ারের দর বাড়ছে মূলত ২৫ নভেম্বের থেকে।

সেদিন এর শেয়ার প্রতি দর ছিল ২২.৩ টাকা। সোমবার লেনদেন শেষে দর উঠেছে ৮৯.১ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ৬৬ টাকা।

এই সময়ে প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনের শীর্ষ তিনটি কোম্পানির দুটি ছিল এই দুটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এত শেয়ার কারা কিনল, আর কার বেচল?

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েসবাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই সময়ে বেক্মিমকোর পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৪ টি শেয়ার বিক্রি করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আর রবির শেয়ার বিক্রি করেছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪০টি।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ছেড়ে দেয়া শেয়ারের মধ্যে বেক্সিমকোর পুরোটাই কিনেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর ববির কিছু কিনেছেন উদ্যোক্তা পরিচালক, তবে বেশিরভাগ কিনেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ডও শেয়ার কিনে থাকে। এরা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত।

প্রতি মাস শেষে কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা পরিচালক, সাধারণ বিনিয়োগকারী, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের অংশ কত, তা প্রকাশ করতে হয়।

এই প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার বিপরীতে বেক্সিমকোর শেয়ারের সরবরাহ বা শেয়ার বিক্রি করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আর কিনেছেন সাধারণ বিনিয়োগাকরীরা।

গত ৩০ নভেম্বর বেক্সিমকোর মোট শেয়ারের ২১.১৯ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীদের কাছে। আর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে হয়েছে ১৫.১৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এক মাসে ৬.০১ শতাংশ বা পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৪ টি শেয়ার বিক্রি করেছে।

আর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই সময়ে বিক্রি করেছেন ০.০০৪ শতাংশ বা তিন লাখ ৫০ হাজার ৫২৭ টি শেয়ার।

নভেম্বরে এই কোম্পানির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ৪৬.৫৯ শতাংশ শেয়ার, যা ডিসেম্বরে হয়েছে ৫২.৬৪ শতাংশ।

এ সময়ে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০.৫৫ শতাংশ শেয়ার ধারনের কোন পরিবর্তন হয়নি।

রবিও ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের নভেম্বরে মোট শেয়ার ছিল ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে ০.০৫ শতাংশ বা ২৬ লাখ ১৮ হাজার শেয়ার কেনায় তা বেড়ে হয়ছে ৯০.০৫ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নভেম্বরে ছিল রবির মোট শেয়ারের ২.৯৬ শতাংশ শেয়ার। ডিসেম্বরে তা হয়েছে ২.৪২ শতাংশ।

ফলে এই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ২ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪০টি শেয়ার পুঁজিবাজারে সরবরাহ করেছে, যার পুরোটিই কিনেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

নভেম্বরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রবির শেয়ার ছিল ৭.০৪ শতাংশ, আর ডিসেম্বরে তা হয়েছে ৭.৫৩ শতাংশ।

অর্থাৎ গত এক মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রবির মোট দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে, যার ০.০৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছে উদ্যোক্তা পরিচালকরা আর ০.৪৯ শতাংশ কিনেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ভারসাম্য রক্ষা করবে। তারা কম দামের শেয়ার কিনে সেগুলোর দাম বাড়াবে আর বেশি দামের শেয়ার বিক্রি করে দাম কারসাজি থেকে রক্ষা করবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি বাজারে শেয়ারের সরবরাহ সংকট করে দাম বাড়িয়ে তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে দেন তাহলে তা অনাকাঙ্ক্ষিত।’

এ বিভাগের আরো খবর