বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকে দরপতন, বিমায় আবার উত্থান

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৫১

দুই দিন পতনের পর বিমার শেয়ারে আবার আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির। অন্যদিকে ব্যাংকে ৩০টির মধ্যে দর হারিয়েছে ২৮টি। সাম্প্রতিক সময়ে এই চিত্র দেখা যায়নি।

দুই দিনের দরপতনের পর পুঁজিবাজারে বিমাখাত আবার ঘুরে দাঁড়াল। অন্যদিকে পতন হয়েছে ব্যাংক খাতের।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বেশিরভাগ শেয়ার দর ও সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে ২৪০ কোটি টাকা।

লেনদেন হওয়া ৪৯টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির কোম্পানির। অপরদিকে ব্যাংক খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দুটি ছাড়া সবগুলো দর কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকর আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ব্যাংক ও বিমার মধ্যে তুলনা করলে অবশ্যই ব্যাংক শক্তিশালী। ২০১০ সালের পর ব্যাংকগুলো বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে তাদের সিকিউরিটিজ সংখ্যা এত বেশি বাড়িয়েছে এক দুদিন শেয়ার কিনে দামে প্রভাব ফেলা সম্ভব না। ফলে এ খাতে যখন শেয়ার কেনা হয় তখন দাম কিছুটা বাড়ে। আবার যখন মুনাফায় চলে আসে তখন বিক্রির চাপে দরপতন হয়।

তিনি বলেন, বিমাতে এ সমস্যা নেই। সিকিউরিটিজ সংখ্যা কম হওয়ায় শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ে বাজারে ভারসাম্য থাকে।

তিনি বলেন, এছাড়া অতিসম্প্রতি বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ থেকে বিমা কোম্পানিগুলোর জন্য যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেটিও বিনিয়োগকারীদের এ খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহী করেছে।

তবে এই চিঠি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ও জীবন বিমা কোম্পানির ৩০ কোটি টাকা করার যে নির্দেশনা, সেটি ১০ বছর আগের। আবার পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ মালিক পক্ষকে সংরক্ষণের নির্দেশনাও নতুন নয়।

সম্প্রতি আইডিআরএ এক মাসের মধ্যে শর্ত পূরণে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দাম বেড়ে যায় এক লাফে। তবে পরের দুই দিন দাম পড়ে। আর বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্কও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানিই ছিল বিমা খাতের।

তবে দুই কার্যদিবস পড়ার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১০টিই এই খাতের।

এদিন এই খাতের ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে আটটি, দর ধরে রেখেছে চারটি। বাকি ৩৭টির দাম বেড়েছে।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

ব্যাংক খাত সবচেয়ে বেশি দর হারানোর তালিকায় না থাকলেও একদিনে ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৯টির দরপতন সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।

বিনিয়োগকারী মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারের সব খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। মাঝে কয়েকদিন ব্যাংকের শেয়ারের দরও বেড়েছে। এখন নতুন ও যারা ব্যাংকের শেয়ার ধরে রেখেছিলেন তারা মুনাফায় ফিরেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে মুনাফা করতে না পারা এই খাত থেকে মূলত মুনাফা উত্তলনে শেয়ারের দর কমেছে।’

দিনের লেনদেন

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক দুই দশমিক ৬৮ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৯৭ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক এক দশমিক ৭৪ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২১০ পয়েন্টে।

লেনদন হওয়া ৩৫৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ২০২টির ও পাল্টায়নি ৭৮ টির। এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২১৩ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে-সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ২৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৪৫টির ও পাল্টায়নি ৪১টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

দর কমেছে বেড়েছে

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে- ডিএসই শীর্ষ ২০ কোম্পানির তালিকায় প্রথমে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার এক কোটি ২৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৯ কোটি টাকা।

বেক্সিমকো লিমিটেডের এক কোটি ৯৮ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৪ কোটি টাকায়। তৃতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফিন্যান্স দুই কোটি ৭৭ লাখ টাকার ১২৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চতুর্থ স্থানে ছিল রবি, যার এক কোটি ৮৬ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি টাকার।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ৯.৯২ শতাংশ। এছাড়া শাইনপুকুর সিরামিক ৯.২৯ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৮.৭৩ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের ৮.৩৩ শতাংশ দর বেড়েছে।

দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, যার দর কমেছে ৮.০৮ শতাংশ। সোনালী আঁশের দর কমেছে ৬.৮৬ শতাংশ।

রবির শেয়ারের দর ৬.৬৪ শতাংশ কমে এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল।

এছাড়া দেশ গার্মেন্টস, বিআইএফসি, নিউ লাইন ছিল এ তালিকায়।

এ বিভাগের আরো খবর