সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানে। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক কিছুটা কমলেও আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে- ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স লেনদেন শুরু হয় পাঁচ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। লেনদেন শুরু কয়েক মিনিটে পাঁচ পয়েন্টের বেশি কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে। তবে ত্রিশ মিনিটের লেনদেনে ঘুরে দাঁড়ায় প্রধান এই সূচক।
এ সময়ে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ১২১টির ও পাল্টায়নি ৮২টির দর। এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪১ কোটি টাকা।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক তিন দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৯৭ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২১৮ পয়েন্টে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি সানোফি-অ্যাভেন্টিসের ৫৪.৬ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা করে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রায় সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড মূল্যে এই শেয়ার কেনা হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় শেয়ারের দাম পড়ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। প্রতিটি শেয়াররে দাম পড়েছে দুই হাজার ৩৭ টাকা।
এমন খবরে রোববার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির ওপর। লেনদেনের শুরুতেই উঠে আসে শীর্ষে।
লেনদেনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল বেক্সিমকোফার্মা, যার মোট লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। এর পরের অবস্থানে আছে বেক্সিমকো লিমিটেড, যার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা এবং লংকাবাংলা ফিনান্সের লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বেক্সিমকো ফার্মা সানোফি-অ্যাভেন্টিসের শেয়ার সিংহভাগ শেয়ার কিনছে এমন খবরে কোম্পানিটির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।
তারা বলছেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা এখনও অনেক ভালো। এমন অবস্থা ধরে রাখা সম্ভব হলে আগামীতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে আছে এ্যানার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, যার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাক্কাডাইংশেয়ারের দর বেড়েছে ৯.৪৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে-সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই এই সময়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ১৬টির ও পাল্টায়নি ছয়টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৪ কোটি টাকা।