বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার বেশি দর হারানো ২০ কোম্পানিই বিমার

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০৭

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সতর্ক করার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সকাল থেকেই বিমা খাতের শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে। শেষ বেলায় দুই একটি কোম্পানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও পতন থেকে বের হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবারের উল্টোচিত্র বৃহস্পতিবার। দুই দিন আগে সর্বাধিক দর বৃদ্ধির সব কোম্পানি যেখানে ছিল বিমা খাতের, সেখানে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানিই এই খাতের।

দুই একটি বাদে বিমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। এই খাত নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাম্প্রতিক চিঠির পর এক দিন হুলস্থুল হলেও টানা দুই দিন পতন দেখল।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানির মূলধনের ৬০ শতাংশ পরিচালকদের সংরক্ষণ করতে হবে এক মাসের মধ্যে। আর সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ কোটি আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ৩০ কোটি।

এটি নতুন কোনো নির্দেশনা নয়। তবে বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক চিঠিতে এক মাসের মধ্যে দুই শর্ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার একটি অনলাইনে এই নির্দেশনার খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার বাজারে তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশের মতো বেড়ে যায়। এক দিনে এর চেয়ে বেশি শেয়ার দর বাড়া সম্ভব নয়। তবে বুধবার দর হারায় ৩১টি কোম্পানি। দর ধরে রাখে পাঁচটি।

বৃহস্পতিবার আরও মন্দা গেল বিমা খাতে। চারটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, দুটি কোম্পানি দর ধরে রেখেছে। পতন হয়েছে বাকি ৪৩টির।

আগের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক মতবিনিময়ে এই খাতের শেয়ার নিয়ে সতর্ক করা হয় বিনিয়োগকারীদের।

বুধবারের সেই মতবিনিময়ে ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘বিমা সম্পর্কে আইডিআরএ যে নির্দেশনা দিয়েছে তার ব্যাখ্যা ওই সংস্থা দিতে পারবে। তবে বিনিয়োগকারীদের সব কিছুর ব্যাখ্যা জেনে শেয়ার কেনা উচিত।’

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সকাল থেকেই বিমা খাতের শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে। শেষ বেলায় দুই একটি কোম্পানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও পতন থেকে বের হওয়া যায়নি। এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির সবকটিই বিমা খাতের।

বৃহস্পতিবার বিমা খাতের সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন দেখল পুঁজিবাজার

সেই চিঠি নিয়ে আইডিআরের পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে বলা হয়, এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল আরও ছয় মাস আছে। তা পরিপালনে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল বিমা কোম্পানিগুলো। যদি কোম্পানিগুলো তা পূরণ করতে না পারে, তাহলে পরে এ নিয়ে আবার সিদ্ধান্ত হবে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে যে কোনো খবর খুবই দ্রুত বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে যখন কোনো খবরে শেয়ারের দর বাড়ত, তখন বাড়তেই থাকত। বিনিয়োগকারীরা কী কারণে বা কোনো নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে কী প্রভাব পড়তে পারে সেটি বিবেচনা করত না।

তিনি বলেন, ‘এখন হঠাৎ পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা আসলে সেটা পুঁজি করে কারসাজি করার সুযোগ আর নেই।’

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগেও দেখেছি যখন বলা হতো ব্যাংকের এত হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে পুঁজিবাজারে। এমন নির্দেশনা আসার পর হঠাৎ করে ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ত। কিন্ত বাস্তবে তা হতো না, আর হলেও সেটি দীর্ঘ সময় পর হতো। কিন্ত একটি গ্রুপ গুজব ছড়িয়ে মুনাফা তুলে নিত।’

তিনি বলেন, ‘বিমার নির্দেশনার প্রেক্ষিতেও এমনটি করার পাঁয়তারা করছি অনেকে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এখন বিনিয়োগকারীরা অনেক সচেতন।’

বৃহস্পতিবার বিমা খাতের সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন দেখল পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতেই আইডিআরএ এমন নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্ত এতে রাতারাতি পুঁজিবাজারে দাম বাড়বে, তা ভাবা ঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘পরিচালকরা ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করলে বিমা খাতের সুশাসন নিশ্চিত হবে। যাদের নেই তারা তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি একটি পন্থা। আর এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে বলে তা এক মাসেই হবে- সেটা ভাবাও উচিত হবে না। কোম্পানির সমস্যা থাকলে সময়ও চাইতে পারে।’

বিমা খাতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স।

পতনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পিপলস ইন্স্যুরেন্স, যার দর কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

আরও দর হারিয়েছে নর্দান ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।

এ বিভাগের আরো খবর