বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নিলামের তারিখ নির্ধারণ করেছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।
ওই দিন বিকেল ৫টা থেকে নিলাম শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নিলাম শেষে কোম্পানির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির অনুমোদন দেয়। এরপর গত ৫ জানুয়ারি এর নিলামের অনুমোদন দেয়া হয়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া কোম্পানিগুলোর আবেদন প্রক্রিয়ায় সংশোধনী এনেছে বিএসইসি। এখন থেকে আইপিও অনুমোদনের জন্য বিদ্যমান দ্বৈত সম্মতিপত্রের পরিবর্তে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের সম্মতিপত্র একসঙ্গে দেয়া হবে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে, যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করা হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় সিলেটভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেড।বারাকা পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। বারাকা গ্রুপের ফার্নেস তেলভিত্তিক বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড।
কোম্পানিটির নিলামের অনুমোদন দেয়ার শর্ত হিসেবে বিএসইসি বলেছিল, নিলামের সম্মতিপত্র ইস্যুর তারিখ থেকে কোম্পানি আগামী ৫ বছরের জন্য বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।
একই সঙ্গে তার সাবসিডিয়ারিতে থাকা কোম্পানি দুটির (কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড) ন্যূনতম ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
কোম্পানির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৭ টাকা। বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৩০ টাকা।
২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়।কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।