বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেয়ার বিক্রেতা নেই এনার্জিপ্যাকে, আগ্রহের শীর্ষে বিমা

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৬

মঙ্গলবার লেনদেনে দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির সবকটি ছিল বিমার। এনার্জিপ্যাকের শেয়ার বিক্রি করেননি বিনোয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার থেকে লেনদেন শুরু করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। প্রথম দিনে আইপিওতে পাওয়া শেয়ার বিক্রি করেননি বিনিয়োগকারীরা। ফলে মাত্র পাঁচ বারে ৮০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির। তবে সার্বিক পুঁজিবাজারে আগ্রহের তালিকায় শীর্ষে ছিল তালিকাভুক্ত বিমা খাত।

মঙ্গলবার লেনদেনে দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির সবকটি ছিল বিমার। তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি কোম্পানির দাম আগের দিনের তুলনায় বাড়েনি। বাকি ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে।

সম্প্রতি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) এক নির্দেশনায় এ খাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। বলা হয়েছে, লাইফ ও নন-লাইফ উভয় ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের থাকতে হবে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পঁজিবাজারে।

বাজার বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রথম দুদিন কত বাড়ছে, সেটা স্পষ্ট হলেও এটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো। কারণ আগে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রথম দিনের লেনদেনে কোনো সার্কিট ব্রেকার না থাকায় ১০ টাকার শেয়ার কারসাজি করে ১০০ টাকা করাও সম্ভব ছিল। এখন সেটা আর হচ্ছে না।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের সচিব কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন নির্দেশনা শুধু পুঁজিবাজারের জন্য নয়, পুরো বিমা খাতের জন্য ভালো। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশের কম শেয়ার ছিল, তারা এখন তা পূরণ করতে শেয়ার কিনবেন। এতে কোম্পানির ফান্ডামেন্টালও বাড়বে।’

এদিকে নতুন তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের লেনদেন শুরুতেই কোম্পানিটির শেয়ার ‘হল্ট ট্রেড’ হয়েছে, অর্থাৎ শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহী হয়নি কোনো বিনিয়োগকারী। সে সময় প্রায় তিন কোটির বেশি শেয়ার কেনার অর্ডার দেখা যায়।

তালিকাভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, একটি কোম্পানির শেয়ারের দর প্রথম ও দ্বিতীয় দিন যথাক্রমে ৫০ শতাংশ করে বাড়বে। তৃতীয় দিনে স্বাভাবিক লেনদেন বা ১০ শতাংশ করে শেয়ারের দর বাড়বে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এনার্জিপ্যাকের ২০০টি শেয়ারের একটি লট পেয়েছেন ৩১ টাকায়। এনার্জিপ্যাক ৪ কোটি ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬৬টি সাধারণ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছেড়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৬টি শেয়ার পেয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। বাকি ২ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৮০০টি শেয়ার পেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা, যা লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে এনার্জিপ্যাক এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে।

এদিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এন ক্যাটাগরির কোম্পানি রবি। মঙ্গলবার রবির শেয়ারের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে লেনদেনে শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কোম্পানিটি। মোট ৩ কোটি ৭৯ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি টাকায়। এদিন রবির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮ দশমিক ৫ টাকায়। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন শেষ হয়ে ৬৪ দশমিক ৫ টাকায়।

বরাবরের মতো লেনদেনের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটির ৩ কোটি ২৮ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকায়।

দিনের লেনদেন

মঙ্গলবার অনেকটা মিশ্র অবস্থায় শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। সূচক আগের দিনের তুলনায় বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮২০ পয়েন্ট। শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯১ পয়েন্ট। এ ছাড়া বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩৫৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ১০৬টির এবং পাল্টায়নি ৭০টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৬ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ৯০টির ও পাল্টায়নি ৫৯টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

দর বেড়েছে-কমেছে

দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স। তাদের শেয়ারের দর দিনের সর্বোচ্চ দশ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ৯ শতাংশ করে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স।

দর কমেছে এমন তালিকায় শীর্ষে ছিল পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যার শেয়ারের দর কমেছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ডেল্টা স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারের দর কমেছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই তালিকায় ছিল ডেসকো, জিল বাংলা সুগার, ইউসিবি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স।

এ বিভাগের আরো খবর