টানা দাম বাড়ার পর রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এসে দাম কমল সদ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবির শেয়ারের।
এর আগে বুধবার রবির শেয়ারের স্বাভাবিক লেনদেন হলেও দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেদিন রবির শেয়ার দর ৬৩.৩ টাকা থেকে ৬৩.৮ টাকায় ৬ কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয় ৪০০ কোটি টাকায়। বৃহস্পতিবার আবার বাড়ে রবির শেয়ার দর, দিনশেষে তা দাঁড়ায় ৭০.১০ টাকা।
রোববার বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে রবি।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীরা বলছেন, রবির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ শুরু থেকেই। কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ারের দাম যেভাব বাড়ছিল তা প্রত্যাশিত ছিল না।
মূলত রবিসহ বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিএসইসি তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তা থেকে সরে আসে সংস্থাটি। তারপরও আতঙ্ক থেকে যায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির ফলে বিএসইসি যে কোনো সময় রবির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ তদন্ত করতে পারে, সে আতঙ্ক থেকে মূলত বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রয় করছে বলে মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের।
রোববার লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রবির শেয়ারের দাম ৭০.১ টাকা থেকে ৬৩.১ টাকায় ওঠানামা করে। দিনশেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫ টাকায়। এদিন কোম্পানির শেয়ার দর ৭.৯৯ শতাংশ কমেছে। লেনদেন হয়েছে ২৮১ কোটি টাকার।
বরাবরের মতো রোববারও লেনদেনের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। নিজে টিকা বাজারজাত করার উদ্যোগসহ সরকারের সাথে টিকা সরবরাহ চুক্তির কারণে কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বেশি।
রোববার বেক্সিমকো লিমিটেডের ২ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯০ কোটি টাকায়। তারপরের অবস্থানে ছিল লংকাবাংলা ফিন্যান্স, যার ৩ কোটি ৭২ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকায়।
পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি তালিকাভুক্ত হয়েছে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর। লেনদেনর পর থেকে ক্রমাগত বেড়েছে এটির শেয়ারের দর। কোনো ধরনের উত্থান-পতন ছাড়াই ১০ টাকা শেয়ার ১৪ কার্যদিবসে উঠে আসে ৬৩ টাকায়।
রবি তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজারে মোবাইল ফোন অপারেটরের সংখ্যা দাঁড়াল দুইটি। এর আগে ২০০৯ সালে গ্রামীণফোন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা তিনটি। গ্রামীণফোন, রবি এবং অন্যটি সরকারি মালিকানাধীন সাবমেরিন কেবল কোম্পানি।