বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৭০০ কোটি টাকার আরও দুই প্রণোদনা অনুমোদন

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:১২

নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার নতুন দুইটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতি দরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই প্রণোদনা বাস্তবায়ন করা হবে। খুব দ্রুতই কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হবে।

নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নতুন অনুমোদিত এই দুইটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি, যার মোট আর্থিক পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এই অঙ্ক জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ।

সূত্র মতে, নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির জন্য বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে দেয়া হবে ৩০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) দেয়া হবে ১০০ কোটি টাকা। জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।

পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা দেয়া হবে।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেয়া হবে।

অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে।

করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থ বিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোতে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাগুলোতে করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধা-সরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতি দরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের সুপারিশও করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় নতুন দুইটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর