প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবণ্টনে বিএসইসির নেয়া উদ্যোগ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে না। এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে আরও কয়েক মাস সময় দরকার বলে জানিয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটি।
কমিটি জানিয়েছে, উদ্যোগটি বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) প্রক্রিয়া আধুনিকায়নে জুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জে কমিশনে রোববার এক সভায় এমনটা জানায় কমিটি। সভায় কমিটির সদস্য ছাড়াও ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর বিএসইসি এক নির্দেশনা জানিয়েছিল বিদ্যমান লটারি ব্যবস্থার পরিবর্তন করে শেয়ার আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে।আরও পড়ুন: আইপিওতে আবেদন করলেই শেয়ার
এতে বলা হয়, আইপিওতে আবেদনের জন্য বাজার মূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আইপিও আবেদনের ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল এ নির্দেশনা।
কিন্তু এ বিষয়ে গঠিত কমিটি বলছে, নির্দেশনাটি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করা হলে কারিগরি জটিলতা দেখা দিতে পারে। সার্বিক প্রস্তুতি নিতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন।আরও পড়ুন: আইপিওতে সমবণ্টন: আগ্রহ বাড়বে বিনিয়োগকারীদের
সভায় আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদনের সর্বোচ্চ আর্থিক সীমা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। একটি বিও হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার সীমা বেধে দেয়া নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। আগামী সভায় এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে জানান, মাল্টিপল আবেদনের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তা উঠিয়ে দেয়া হবে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে এ সংক্রান্ত কমিটি আছে। কমিটি সিদ্ধান্তের সেসব নির্ভর করবে।