টায়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্রিজেস্টোন-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফায়ারস্টোন বিল্ডিং প্রোডাক্ট কোম্পানিকে অধিগ্রহণের জন্য চুক্তি করেছে লাফার্জহোলসিম লিমিটেড। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি হয় শুক্রবার।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশে ব্যবসারত একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, যেটি পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্ত।
তবে নতুন কোম্পানিকে অধিগ্রহণের ফলে বাংলাদেশে লাফার্জহোলসিমের ব্যবসা বা পুঁজিবাজারে বিশেষ কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে কোম্পানিটির সচিব কাজী মিজানুর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানটি সার্বিকভাবে কমার্শিয়াল রুফিং ও বিল্ডিং ইনভেলাপ সলিউশন দিয়ে থাকে। কমার্শিয়াল রুফিং বাংলাদেশ এখনও প্রচলিত হয়নি। ফলে এতে বাংলাদেশে লাফার্জহোলসিমের ব্যবসার কোনো অগ্রগতি বা অবনতি হবে না। তবে টেকসই নির্মাণে বিশ্বের শীর্ষস্থান দখলে এই চুক্তি লাফার্জহোলসিম গ্রুপের জন্য একটি বড় অর্জন।’
কমার্শিয়াল রুফিং বা বাণিজ্যিক ছাদ তামা ও দস্তাসহ বিভিন্ন ধাতব উপকরণে তৈরি হয়। এগুলো খুবই টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব। পাশাপাশি এ ধরনের ছাদের মেয়াদকাল প্রায় ৩০ বছর।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যখন তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে চুক্তি করে অথবা আর্থিক সংস্থান বা ঋণ প্রাপ্ত হয়, তখন বিষয়টিকে মূল্য সংবেদনশীল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগাকরীরা ওই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে দেশের পুঁজিবাজারে বড় কোনো প্রভাবের সম্ভাবনা দেখছেন না লাফার্জহোলসিমের সচিব।
লাফার্জহোলসিমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফায়ারস্টোন বিল্ডিং প্রোডাক্ট কোম্পানি কমার্শিয়াল রুফিং এবং বিল্ডিং ইনভেলাপ সলিউশন প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালে ফায়ারস্টোনের নেট সেলস ছিল ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং কর পূর্ববর্তী মুনাফা ছিল ২৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
কোম্পানিটি অধিগ্রহণে লাফার্জহোলসিম গ্রুপ নিজস্ব তহবিল এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের সংগ্রহ করবে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের একটি বহুজাতিক কোম্পানি। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৩ সালে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ এক হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।
কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৪ দশমকি ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীদের কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে কোম্পানির ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার।