বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২১ হাজার কোটি টাকার মুনাফা তোলেনি কেউ

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:০৬

অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তথ্য নেয়া হয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে। দেখা গেছে, ডিএসইর ২০৮টি ও সিএসইর ১২৭টি কোম্পানিসহ মোট ৩৩৫ কোম্পানির প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ অবণ্টিত অবস্থায় আছে।

কোম্পানির শেয়ার পোর্টফোলিওতে থাকলে বছর শেষে পাওয়া যাবে নগদ বা শেয়ার লভ্যাংশ। কিন্তু বিও হিসাব নবায়ন না করা, ব্যাংকের হিসাব অকার্যকরসহ নানা কারণে অবণ্টিত থেকে যায় কোম্পানির লভ্যাংশ, যা ‘সাসপেন্ডেড’ হিসেবে জমা থাকে কোম্পানির কাছে।

সম্প্রতি এমন অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তথ্য নেয়া হয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে। দেখা গেছে, ডিএসইর ২০৮টি ও সিএসইর ১২৭টি কোম্পানিসহ মোট ৩৩৫ কোম্পানির প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ অবণ্টিত অবস্থায় আছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে কাজ চলছে। এসব লভ্যাংশ কোথায় কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে সেটার কিছু বিধি বিধান লাগবে। বিধি বিধানগুলো তৈরি হওয়ার পর বলা যাবে, বিনিয়োগ সুরক্ষা তহবিলে যাবে নাকি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে।

টাকার অংকে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি টাকা। একইভাবে সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ আট হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৩২১ কোটি টাকা।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আট হাজার ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অদাবিকৃত লভ্যাংশ রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) কাছে। এরমধ্যে ৮ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বোনাস লভ্যাংশ এবং ছয় কোটি ৪৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ।

কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণার পর নির্দিষ্ট সময় পর তা বিনিয়োগকারীদের প্রদত্ত ব্যাংক হিসাব (নগদ লভ্যাংশ) এবং (বেনিফিশিয়ারি ওর্নাস) বিও হিসাবে স্টক (শেয়ার লভ্যাংশ) পাঠানো হয়।

নিয়মিত লেনদেন না করা বা দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের কারণে ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে যায়। এতে নগদ লভ্যাংশ ব্যাংক হিসাবে জমা হয় না। একই কারণে বিও হিসাব নবায়ন না করলে শেয়ার (স্টক) লভ্যাংশ জমা না হয়ে তা কোম্পানির কাছে ফেরত চলে যায়। কোম্পানি এগুলো সাসেপেন্ডেড হিসাবে জমা দেখিয়ে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে।

বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে অনেক সময় তার মনোনীত উত্তরাধিকারী সেই টাকা আর দাবি করেন না তথ্য বা কাগজপত্রের অভাবে।

এরূপ ক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার এক বছরের মধ্যে অবণ্টিত লভ্যাংশ আলাদা ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। স্টক (শেয়ার) লভ্যাংশের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে বিও হিসেবে পাঠাতে হবে। ৩০ দিন পর অবণ্টিত লভ্যাংশ আলাদা ‘সাসপেন্ডেড‘ বিও হিসেবে রাখার এমন নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

ভারতে অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ সাত বছর পর্যন্ত সাসপেন্ডেড থাকতে পারে। এরপর সেটা চলে যায় বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে। কিন্তু বাংলাদেশের এখানে ওই ধরনের কোনো তহবিল বা নীতিমালা নেই।

এ বিভাগের আরো খবর