গত ছয় মাসে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কালো টাকা সাদা হয়ে মূল স্রোতে আসায় অর্থনীতিতে প্রাণ চাঞ্চল্য এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইন বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরে বাজেটে শেয়ারবাজার, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতসহ বিভিন্ন খাতে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়।
৩১ ডিসেম্বর ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময়। এর পর কালো টাকার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
এনবিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০ শতাংশ কর দিয়ে সাত হাজারের বেশি লোক সরকারের দেয়া সুযোগটি নিয়েছে। এতে টাকা সাদা হয়েছে ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। কর আদায় হয় প্রায় ৯৪০ কোটি টাকা।
এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করা নিয়ে এই তথ্যগুলো জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আগে বাড়ি বিক্রি হলেও দেখানো হয়নি। এরকম অনেকেই আছেন যারা তাদের সম্পদ বা অর্থ দেখাননি। তাদের অপ্রদর্শিত আয় দেখানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্যই কালো টাকা সাদা হচ্ছে। এটা সব দেশেই করে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে ৪০ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। পুরো বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি আসবে। এই টাকা পুঁজিবাজারে যাবে। ফলে বাজার আরও চাঙ্গা হবে।’
কালো টাকা সাদা প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘অফিসিয়ালি টাকাগুলো আসাতে অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই টাকাগুলো অর্থনীতির মূল স্রোতে আসায় বেগবান হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।’
সরকারের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই টাকা আরও সাদা হোক।
‘অনেকেই ট্যাক্স দেয় আবার অনেকেই দেয় না। আবার ট্যাক্স রেট অনেক বেশি। এটা আরও কমিয়ে আনতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, বেশি সুদ হারে কোনো দেশেই শিল্পায়ন হয় না, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। আমরা ঋণের সুদ কমিয়েছি। সবাই তা গ্রহণ করেছে।