সরকারি গুদামে মজুদ বাড়াতে আরও আড়াই লাখ টন চাল কিনবে সরকার। এসব চাল কিনতে খরচ হবে ৮৬৭ কোটি টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত হয়েছিলেন।
আড়াই লাখ টন চালের মধ্যে দুই লাখ টন ভারত, অন্য পঞ্চাশ হাজার টন আসবে সিঙ্গাপুর থেকে।
গত ৪ জানুয়ারি সরকারের গুদামে চালের মজুদ ছিল পাঁচ দশমিক ৩২ লাখ টন। রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি পর্যায়ে ১০ আমদানিকারককে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
এ ছাড়া চালের শুল্ক ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। সরকার আশা করছে, এসব পদক্ষেপে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, দাম সহনীয় হবে।
খাদ্য মজুদ অর্ধেক কমে যাওয়ায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া এবং চলমান মহামারি, মহামারির মধ্যে কয়েক দফা বন্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই সরকারের কাছে খাদ্য মজুদ ছিল ১৬ দশমিক ৭৪ লাখ টন। এক বছরে তা কমে ১১ দশমিক ৮৮ লাখ টনে দাঁড়ায়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, আরও আড়াই লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং মেসার্স ইটিসি এগ্রো-প্রসেসিং (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড দুই লাখ টন চাল সরবরাহ করবে। অন্য ৫০ হাজার টন সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ‘মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড’।