ভারত থেকে আরও পাঁচ হাজার ১০০ টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে আরেকটি জাহাজ।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এমভি সেঁজুতি নামে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের চলাচল সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান আবু নাঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘জাহাজটি বহির্নোঙরে পৌঁছানোর পর বন্দর ও কাস্টমসের যাবতীয় ফি পরিশোধ করা হবে। এরপর চালগুলো খালাসের জন্য বৃহস্পতিবার জাহাজটির বন্দরের জেটিতে ভেড়ার কথা রয়েছে।’
গত ২৪ ডিসেম্বর এমভি সেঁজুতি জাহাজটি চার হাজার ৩০০ টন চাল নিয়ে কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে এসেছিল। ইতিমধ্যে এসব চাল বন্দর থেকে খালাস হয়ে সরকারি গুদামে পৌঁছে গেছে।
চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দফা লাইটার জাহাজে করে চাল আমদানি করা হলেও তৃতীয় দফায় মাদার ভ্যাসেলে করে চাল আমদানি করা হবে। আগামী ১০ জানুয়ারি চাল নিয়ে বড় একটি জাহাজের চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা অনুযায়ী, পরপর চার দফা বন্যায় দেশে ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৫ লাখ টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। এখন আমনের ভরা মৌসুমেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।’
ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মতো মোটা চালের দাম ১২.৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯. ৩৫ শতাংশ।
এদিকে দ্রুত চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর আজম জানান, সরকারি-বেসরকারিভাবে চাল আমদানির খবরে বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি দেড় থেকে দুই টাকা করে কমেছে।